২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে ব্যবহার করেছে। আজকের ক্রাইম নিউজ

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে ব্যবহার করেছে। আজকের ক্রাইম নিউজ

বরগুনা প্রতিনিধি::: তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী স্বামীর সংসার করতে তার বাড়িতে ডুকলে ওই ভাড়াটিয়া ঘরের মালিক মতিউর রহমানের ছেলে মাহমুদ হাওয়া বেগমকে (২২) মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় হাওয়া বেগমের আড়াই বছরের কন্যা শিশু জান্নাতিকে কোল থেকে টেনে ছুরে মাটিতে ছেলে দেয় মাহমুদ।

এঘটনায় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধা ৬টার দিকে মা ও মেয়ে জান্নাতিকে পাথরঘাটা থানা পুলিশ উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন। বিষয়টি বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা থানা পুলিশের ওসি শাহাবুদ্দিন।

হাওয়া বেগম উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জামাল মিস্ত্রির স্ত্রী ও সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা গ্রামের মো. ফারুক দফাদারের মেয়ে।

হাওয়া বেগম জানান, স্বামীর সাথে আমার তালাক হওয়ার পর থেকেই সে আমার সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করে ফের বিয়ে করে সংসার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সাথে কয়েক দফায় শারিরীক সম্পর্ক করতে থাকে। এক পর্যায় আমাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে গেলে আমি বিয়ের কথা বলি। সে সময় জামাল আমাকে ঘরের তালা ভেঙ্গে উঠতে বললে আমি ঘরে গিয়ে থাকতে শুরু করি। তার একদি পরেই ঘর মালিকে ছেলে মাহমুদ, দুলাল খান ও তার বোন ফাতিমা আমার ঘরে ঢুকে প্রথমে বৃদ্ধ মাকে মারধর শুরু করে। পরে আমি বাধাঁ দিলে আমার কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশু জান্নাতিকে ছুরে ফেলে দেয় মাহমুদ। মেয়েকে ধরতে গেলে গাছের চ্যারা দিয়ে পিটিয়ে আমাকে অজ্ঞান করে ফেলে।

হাওয়া বেগমের মা ফিরোজা বেগম জানান, জামালের কাছ থেকে গত নভেম্বর মাসের ২৭ তারিখ আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকেই জামাল বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে শুরু করে। এক পর্যায় আমি বাড়ি না থাকায় মেয়েকে বিয়ের কথা বলে পাথরঘাটা বাজারে নিয়ে আসলে সেখান থেকে তার বাড়িতে নিয়ে পূর্ণরায় নির্যাতন শুরু করে। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার মেয়েকে জামালের বাড়ি থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে। এবিষয়ে বৃহস্পতিকার পাথরঘাটা থানা অভিযোগ করেছি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মাহমুদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাওয়া বেগম আমার ভাড়া দেয়া ঘরের তালা ভেঙ্গে প্রবেশের কারন জানতে চাইলে তারা উল্টো আমাদের উপর হামলার চেস্টা করে। পরে সামাল দিতে পুলিশকে অবহিত করেছি।

পাথরঘাটা থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন জানান, এঘটনায় হাওয়ার মা ফিরোজা বেগম তার মেয়েকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তবে শুক্রবার রাতের মারধরের ঘটনার এখনো লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019