২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
৭ সাত শহীদের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক। আজকের ক্রাইম নিউজ

৭ সাত শহীদের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক। আজকের ক্রাইম নিউজ

বরগুনা প্রতিনিধি::মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের হাতে নির্মম নিহত ৭ সাত শহীদের বধ্যভূমি সংরক্ষণের দায়িত্ব নিলেন বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া গ্রামের সাত শহীদের বধ্যভূমি শ্রদ্ধাঞ্জলী শেষে তিনি এ দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের স পক্ষের মানুষদের প্রাণহানি হওয়ায় তাদের স্মৃতি চিহ্ন অরক্ষিত ছিল। আমি ইতোপুর্বে অনেক জায়গায় খোজ খবর নিয়েছি। পাথরঘাটা সপ্তার্ষি সংরক্ষণের জন্য আমি দায়িত্ব নিলাম। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ লোকজনকে নির্বিচারে যেসব স্থানে হত্যা করেছিল, সেসব বধ্যভূমিগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণে বধ্যপরিকর তিনি।

১৯৭১ সালের ১০ই অক্টোবর এই দিনে বরগুনার পাথরঘাটার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের শিংড়াবুনিয়া শহীদ পরিবারের উপরে বর্বরোচিত পাক হানাদারের অত্যাচার ও গণহত্যার শিকার হয়। হত্যা শেষে একই জায়গায় সাত জনকে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। সেদিন পাক হানাদার রাজাকার ও শান্তিকমিটির সহায়তায় গানবোট যোগে এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের খুজতে এসে না পেয়ে ব্যাপারী বাড়ি, হাজরা বাড়ি, গাওয়ালী বাড়ি, বালা বাড়ি ও হাওলাদার বাড়ী, চারদিকে থেকে ঘেরাও করে সাতজন নিরীহ মানুষের চোখ বেধে পার্শ্ববর্তী হরের খালে নিয়ে এসে ব্রাস করে হত্যা করে এবং এদের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা হলেন,চন্দ্র কান্ত হাজরা, অশ্বিনী কুমার বালা, লক্ষ্মিকান্ত গয়ালী, নিত্যানন্দ বেপারী, মনোরঞ্জন বেপারী, খিরিশ চন্দ্র বেপারী ও অনন্তু কুমার হালদার। সর্বশেষ পুড়িয়ে দেয় ঘরবাড়ি।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর স্মরনে ফারিলারা ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নির্মান করা হয়েছিল স্মৃতিসৌধ। কিন্তু তা দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত থাকায় বরগুনা জেলা প্রশাসক মুস্তাইন বিল্লাহ পুনরায় সংরক্ষণের জন্য দায়িত্ব নিলেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019