২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক::;দিনাজপুর সদর উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বজলুর রশিদ মামলার বিয়টি নিশ্চিত করেন। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একই গ্রামের মোকছেদুল ইসলাম টুকলুকে (৩১) এক নম্বর আসামি ও আরও অজ্ঞাত দুই জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বুধবার দিবাগত রাতে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে ফরেনসিক টেস্ট করার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিতা কিশোরী।
কোতয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুর সদর উপজেলার একটি স্কুলে অনুষ্ঠিত গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরছিলো ওই ছাত্রী। রাত সাড়ে ৯টায় রাস্তা থেকে ৩ জন তাকে ধরে নিয়ে যায়।
পরে ধর্ষণকারীরা তাকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পানিতে ফেলার পর জ্ঞান ফিরলে সে বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে এসে রাতেই তার মা ও খালাসহ পরিবারের আরো কয়েকজনকে তার ওপর নির্জাতনের ঘটনাটি খুলে বলে।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী তার পরিবারকে জানিয়েছে, আলতাফের দোকানের সামনে বৈদ্যুতিক আলোতে ধর্ষণকারী মোকছেদুল ইসলাম টুকলুকে (৩১) চিনতে পারি। আরো ২ জন ছিল, চিনতে পারিনি তাদের।
স্কুলছাত্রীর মা জানান, ধর্ষকরা তার মেয়েকে বলেছে- এ বিষয়ে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলবে। এখনও বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে তারা। তার মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা.ফজলুর রহমান জানান, ওই স্কুলছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দিনাজপুর কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বজলুর রশিদ জানান, গণধর্ষণ করার অভিযোগে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ওই ছাত্রীর মা। আমরা অভিযুক্তদের ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। তারা যেখানেই থাকুক তাদের আইনের আওতায় আমরা আনবোই।