২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক::রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজবাড়ী জেলার কালুখালী থানাধীন গান্ধিমারা এলাকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত প্রায় ৫০ জন বাসযাত্রী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়।
নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রামের ফরমান মণ্ডল (৬০), ফরিদপুরের গোপালপুর এলাকার মিন্টু (২৭), রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মেঘনা গ্রামের জামান শেখের ছেলে মিজান শেখ (২৫) এবং কুষ্টিয়ার বশিগ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মিলন (২৭)।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালন পরিবহনের একটি বাস দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে কুষ্টিয়ার দিকে যাওয়ার সময় গান্ধিমারা এলাকায় পৌঁছলে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা দৌলতদিয়াগামী আরিফ পরিবহন নামের একটি লোকাল বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আহত কয়েকজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলম সর্দার (৪৫) বলেন, আমি ও আমার শ্বশুর ফরমান মণ্ডল লালন পরিবহনের বাসে পাশাপাশি সিটে বসে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলাম। গান্ধিমারা এলাকায় বিপরীত দিকের আরেকটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে আমার শ্বশুর ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আমিও গুরুতর আহত হই। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত নারী চিকিৎসক মানি মণ্ডল বলেন, ৫টি লাশই বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছে। তাদের ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। একজনকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. বাকাহীদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান এবং এনডিসি মো. রফিকুল ইসলাম সদর হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।