০২ মে ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা দামুড়হুদায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ প্রার্থী হয়েছে ১৩ জন বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালে সড়ক নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়ম কে এম পি লবণচরা থানা পুলিশের অভিযানে সোনা চোরাকারবারি গ্রেফতার,৭ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার তেঁতুলিয়ায় আচরণবিধি মানছে না প্রার্থীরা, পোষ্টারে ছেয়ে গেছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তদারকি নেই সংশ্লিষ্টদের বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী দুলালের মতবিনিময় বিদেশে পালানোর সময় শত কোটি টাকা আত্মসাতের হোতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার উসকানিতে নিজের রুটি-রুজির সংস্থান ধ্বংস করবেন না: শেখ হাসিনা
বাকেরগঞ্জে সুমির উদ্দক্তা হওয়ার পিছনের গল্প

বাকেরগঞ্জে সুমির উদ্দক্তা হওয়ার পিছনের গল্প

মৃধা জুয়েল
ভুমিকা:আমি নুসরাত জাহান সুমি,
মূলগল্প:
আমি একেবারেই নতুন ও ছোট আকারের একজন নারী উদ্যোক্তা, আমি নিম্নবিত্ত পরিবারের একজন মেয়ে, আমরা দুই ভাই বোন,আমার বাবা সামান্য চাকুরি করেন।ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হবো,
কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা বেশি ভাল না থাকায় ছোটবেলায় বিয়ে হয়ে যায় এবং লেখা পড়া ওখনেই শেষ হয়ে যায়।কিন্তু স্বপ্নটাতো আজও শেষ হয়নি। আমার শশুর বাড়িতে থেকে অনেক চেষ্টা করেছি আমার লেখাপড়া শুরু করার, কিন্তু আমি ব্যর্থ হই।তবে আশা ছারিনি,আমার স্বামির সাথে সংসার জীবন বেশ ভালো এবং আনন্দে কাটছিল,এর মধ্যে আমার ঘরে দুটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়, আমার ছোট ছেলে হবার পরে আমার স্বামি নেশায় আসক্ত হয়ে যায় এবং আমার সংসারে অভাব অনটন শুরু হয়ে যায়।২০০৮ সালে আমি সখের কারনে সেলাই কাজ শিখেছিলাম, এখন এই সেলাই কাজটাকেই আমার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিলাম,আমার কাজ এবং আয় দুটোই বারতে চলেছে এবং পাশাপাশি আমার স্বামির নেশাও বারছে,
টাকার জন্য আমার উপরে প্রেশার করা শুরু করছে, বাবার বাড়ি থেকে আমি প্রতিনিয়ত টাকা আনতে শুরু করলাম,এরপর ওর অবস্থা আরো ভয়াবহ হয়ে যায়,নেশা করে আমার উপরে শারিরীক নির্যাতন শুরু করে,এমন কি হাতের কাছে ধারালো কিছু পেলে নিজেকেও আঘাত করে,এ অবস্থায় আমি অসহায় হয়ে পরি,আমার বাবাও আমাকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়,তখন আমি একেবারেই নিরুপায়। অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি আমার বাবার বাড়িতে এসে উঠলাম,তখন আমাদের এখানে একটি দাতা সংস্থা আছে যার নাম ”ওয়েভ ফাউন্ডেশন”
ওখান থেকে একটি ভোকেশনাল ট্রনিং গ্রহন করি এবং ঐ সংস্থার মাধ্যমে একটি চাকুরি পাই মাত্র ৫০০০/টাকা বেতনে ওখানে কিছুদিন চাকুরি করি, তারপরে দেখলাম চাকুরি করা অনেক কষ্টকর,ভেবে দেখলাম আমি নিজেই তো বেশ কিছু হাতের কাজ শিখেছি তাহলে আমি কেন ব্যাবসা করতে পারবো না ?
ইতি মধ্যে আমি আমার চাকুরির প্রতিষ্ঠানে গার্মেন্টস এর মেশিন গুলাও চালাতে শিখেছি,কিন্তু আমার কাছে কোন মুলধন ছিলনা,তখন আমি আবার ঐ
“ওয়েভ ফাউন্ডেশনের” সহায়তায় একটি উদ্দোক্তা প্রশিক্ষণ গ্রহন করি।
তার পরে ওনারা আমাকে ২৫,০০০/
টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করে,এবং গ্রামিন ব্যংক থেকে ৩০,০০০/টাকা লোন নিয়ে মোট ৫৫,০০০টাকা দিয়ে আমার ব্যাবসা শুরু করলাম,ব্যাবসা শুরু করার পর পারিবারিক ও সামাজিক বাধা আসে প্রচুর কিন্তু আমি পিছিয়ে যাইনি, এমনকি বড় বড় নেতারাও আমার ব্যাবসার সামনে বাধা হয়ে দাড়ায়,তবুও মনে সাহশ নিয়ে এগিয়ে চলেছি, এখন আমার প্রতিষ্ঠানে মোট ৭ জন বেতন ভুক্ত ছেলে মেয়ে কাজ করে।এবং আমার তৈরি পোশাক বেশ কিছু সংখক দোকানে পাইকারি বিক্রি করছি।
উপসংহার:
আমি আমার জীবন থেকে অনুভব করতে পেরেছি যে বেকারত্ব একটা অসুখ,তাই কাজ করা সুরু করেছি
যদিও অনেক ছোট আকারে, তবে স্বপ্ন অনেক বড়,আর এই স্বপ্ন পুরনের জন্য গড়ে তুলেছি “স্বপ্ন সিঁড়ি” নামে নারী কল্যাণ সমিতি ও স্বপ্নসিরি গার্মেন্টস,লেডিস ফ্যাশন পয়েন্টস্, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল,এখানে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ও রুচিসম্মত ডিজাইনের পোশাক তৈরি করি সম্পুর্ণ নিজের হাতে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019