২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ তহিরুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধি, মাদকস্পট থেকে ফিরেঃ-
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম আলোচিত মাদকস্পট দর্শনা সংলগ্ন আকন্দবাড়িয়া, রাঙ্গিয়ার পোতা, ঈশ্বরচন্দ্রপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকার মাদক কারবারীদের ঘুম খাওয়া দাওয়া একপ্রকার হারাম হওয়ার পথে। এমনিতেই গত ২ মাস যাবৎ জেলা পুলিশ সুপারের কঠোর নির্দেশ ও মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণার শুরু থেকেই এ এলাকার মাদক কারবারী বিক্রেতা অর্থলগ্নিকারী ও আশ্রয় প্রশ্রয় দাতারা কোনঠাসা হতে শুরু করে। শীর্ষ বেশকিছু মাদক কারবারী গ্রেফতার ও মাদকের একের পর এক চালান ধরা পড়ার কারণে এ মাদক সাম্রজ্যে পতন নামতে শুরু করে। এমনিতেই প্রচণ্ড ধার্মিক ও সিনসিয়ার এ অফিসারের কারণে অনেক মাদক কারবারীই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। ভারতেও আত্মগোপন করেছেন অনেকেই। আর চুপিসারে বা খুব সংগোপনে কিছু কিছু মাদক কারবারী বিভিন্ন কৌশলে ও ফেরি করে মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে একান্ত বিশ্বস্ত কাস্টমারদের কাছে দুচ্চার পিস যাওবা বিক্রি করে এ সাম্রাজ্যের পতন বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন, সে তালিকাও এখন ইনচার্জ মোঃ রাজীব সাহেবের পকেটে। আর তাই এ ক্যাম্পের সদস্যদের কয়েক গ্রুপে ভাগ করে এবং নিজেও মোটরসাইকেলে সারা দিনরাত এলাকায় মূহুর্মূহু টহলের মাধ্যমে মাদকের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাদেরকে একেবারে কোনঠাসা করে ফেলেছেন। এখন এলাকার মাদক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের একমাত্র চাওয়া পাওয়া হলো ইনচার্জ মোঃ রাজীব সাহেব এর বদলি। খুব গোপনে গাংপাড়া, মাঝেরপাড়া, স্কুলপাড়া, বটতলা, তামালতলা, আকন্দবাড়ীয়া ফার্ম এর পিছনে ও ফার্মপাড়ার মাদক সিন্ডিকেট দফায় দফায় মিটিং করেছেন।
তাছাড়া বেগমপুর ইউনিয়নের এবং দর্শনা এলাকার দ্বিতীয় সারির কতিপয় নেতার কাছে যেয়ে আর্জি জানিয়েছে, যাতে করে মাদক কারবারীদের সবথেকে বড় দুশমন রাজীব সাহেবকে যেনো যে কোনো ভাবে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে গাংপাড়ার একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এ ক্যাম্প থেকে বেগমপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই মোঃ রাজীব সাহেব যেদিন অন্যত্র বদলি হয়ে যাবেন, তারপর দিনই মাদক সিন্ডিকেটের টাকায় মাইক বাজিয়ে উৎসবমূখর পরিবেশে হবে গণ খানাপিনার আয়োজন ও মিষ্টি বিতরণ।
পূনশ্চঃ এখানে উল্লেখ থাকে যে, পুলিশ বিভাগে ছুটি যেখানে খুবই দুর্লভ সেখানে নিজের প্রাপ্য ছুটি ভোগ না করেই একদিনের ঝটিকা সফরে কোনরকম নিজ বাড়ীতে গিয়ে এক দুই মুঠো খাবার খেয়ে চলে আসে বেগমপুর ক্যাম্পে ফিরে যথারীতি কঠোর ডিউটি শুরু করেছেন এই সিনসিয়ার অফিসার রাজীব। আর এ কারণে এলাকার সচেতন মহল এ অফিসারের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।