১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, শুক্রবার, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আনোয়ার পঞ্চায়েত মিলন,ভোলা থেকে।। ভোলার বোরহানউদ্দিনে ‘তৌহিদি জনতা’র সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারে দাঁড়ালো। আহত হয়েছেন পুলিশসহ শতাধিক মানুষ।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি ম.এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মো. শাহীন জানিয়েছেন, গুলিত নিহত দুই জনের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে।
অপরদিকে আরও দুইজনকে মৃত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জেলার সিভিল সার্জন রথীন্দ্রনাথ রায় জানিয়েছেন।
এদিকে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভোলা সদর হাসপাতাল ছাড়াও কয়েকজনকে উন্নত চিকিসাৎর জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ফেসবুকে মহানবী (স.) নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে রোববার বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিতে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার লোক একত্রিত হয়ে ‘নবী অবমাননা’ ও ‘আল্লাহ-কে নিয়ে কটূক্তিকারীর ফাঁসি চাই’- এমন স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। কিন্তু সমাবেশ তাড়াতাড়ি শেষ করতে তাগাদা দেন পুলিশ। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছোড়ে।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশ করতে চাইলে আমরা তাদের দ্রুত শেষ করতে বলায় তারা কথা না শুনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি ছুড়তে বাধ্য হই আমরা। উল্লেখ্য, বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামের এক যুবক শুক্রবার বিকেলে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে কয়েক জনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে আল্লাহ ও রাসূল (স.)-কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। একপর্যায় কয়েকটি আইডি থেকে ম্যাসেজগুলোর স্ক্রিন শর্ট নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদ জানালে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। পরবর্তীতে ফেসবুকজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।