২০ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা! দর্শনায় দাড়ানো ট্রাকে আগুন ধরিয়েছে দুর্বৃত্তরা বিরামপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বড় বোনের ইন্তেকাল
দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছরেও বিচার কাজ শেষ হয়নি ১৪ জন আসামির। আজকের ক্রাইম নিউজ ডটনিউজ নিউজ নিউজ ডট কম

দীর্ঘ সাড়ে ৫ বছরেও বিচার কাজ শেষ হয়নি ১৪ জন আসামির। আজকের ক্রাইম নিউজ ডটনিউজ নিউজ নিউজ ডট কম

ডেক্স রির্পোট, বুয়েটের আবরারের মতো শিবির সন্দেহে ২০১৪ সালে হলের গেস্ট রুমে রাতভর আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা সাদ ইবনে মোমতাজকে। কিন্তু দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছরেও বিচার কাজ শেষ হয়নি। ১৪ জন আসামির মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজাসহ ৭ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশে বর্তমানে মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে বলে জানান আইনজীবীরা।

২০১৪ সালে ৩১ মার্চ রাতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলের আবাসিক মৎস্য বিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ ইবনে মোমতাজকে শিবির সন্দেহে গেস্ট রুমে রাতভর আটকে রেখে ক্রিকেট ব্যাট ও স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। পরদিন সকালে হাসপাতালে মারা যান তিনি। সাদের পরিবার মামলা করতে অস্বীকৃতি জানালে শিক্ষার্থীদের প্রবল আন্দোলনের মুখে রেজাউল করিম রেজা, সুজয় কুমার কুন্ডু ও রোকনুজ্জামান রোকনকে আজীবনসহ আরও ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং অজ্ঞাত আসামির নামে হত্যা মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পুলিশ তদন্ত করে তিনমাস পর ছাত্রলীগের ১৪ নেতাকর্মীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। তবে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল রেজাউল করিম রেজাসহ আলোচিত ৭ জনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

জজকোর্ট পিপি অ্যাডভোকেট মো. ওয়াজেদুল ইসলাম বলেন, রেজাউল করিমসহ কয়েকজনের নাম যারা স্বীকার করেছেন মামলায় এ স্বীকারোক্তির মধ্যে আছে।

সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান বলেন, তাদের অব্যাহতি যৌক্তিক কিনা এ বিষয়ে তারা উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তো এ ব্যাপারে প্রচুর উদাসিনতা। তারা তো কখনও খোঁজও নেয় না।

এদিকে দীর্ঘদিনেও বিচার না হওয়া এবং মামলা পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, সাদ হত্যায় অভিযুক্ত ৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে। তবে মামলার ব্যাপারে কিছুটা উদাসীনতা থাকলেও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, একসময় মামলার খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। হয়তো এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খোঁজ নেয়া হয়নি। আগামী বছরের ২৩ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019