০৪ মে ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও ভোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩০ বরিশাল সিটিতে ৫ বছর পর সরকারি বরাদ্দে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন সিলেটে আগাম বন্যার আশঙ্কায়!! হাওরজুড়ে কৃষকের ব্যস্ততা চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও দর্শনা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক এমএ গফুর ইন্তেকাল দর্শনায় পৌর উদ্যোগে সড়কে পানি ছিটানো উদ্যোগ তেঁতুলিয়ায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক রেজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলু ভাট্টির দল থেকে পদত্যাগ চুয়াডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাড়ি শেষ
প্রতিবেশীর কোনো সমস্যা ভারত আমলে নেয় না , কৃষি মন্ত্রী।

প্রতিবেশীর কোনো সমস্যা ভারত আমলে নেয় না , কৃষি মন্ত্রী।

ঢাকা অফিসঃ প্রতিবেশি কোনো সমস্যা ভারত আমলে নেয় না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত, তাদের প্রবলেম। তাদের কোনো প্রবলেম হলে দে ডোন্ট কেয়ার অ্যাবাউট দেয়ার নেইবার। তারা দাম বাড়িয়ে দেয় অথবা ট্যাক্স বসায় অথবা এক্সপোর্ট ব্যান (রফতানি নিষিদ্ধ) করে’।বুধবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) আয়োজিত এ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল মুয়িদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ, জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিইআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবীর ইকরামুল হক প্রমুখ।কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১১ সালে আমাদের সমস্যা হয়েছিল, তখনও তারা… তাদের সারপ্লাস (উদ্বৃত্ত) ছিল।  (তারপরও) তারা এক্সপোর্ট ব্যান (রফতানি নিষিদ্ধ) করেছিল। এবারও তাদের দেশে দাম বেড়ে গেছে, এজন্য…।’অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত।  তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।দেশের বাজারে পেঁয়াজের এই সংকটকে ‘সাময়িক’ হিসাবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, “সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনার।”ইতিমধ্যে চীন ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আনা হয়েছে। তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করতে পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে ট্রাকে করে ‘ন্যায্য মূল্যে’ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, “মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। মিডিয়াও খুব সেনসিটিভি। আমি বলব, এটা মেইন ফুড না। আমাদের মেইন স্পাইস। আমরা এটার ব্যাপক ব্যবহার করি। এ বছর পেঁয়াজের সমস্যা হয়েছে। পেঁয়াজ-রসুন এমন একটি ফসল, কোনো বছর কৃষক বিক্রিই করতে পারে না। আবার কোনো বছর দাম বেড়ে যায়।”তবে এবার আগাম বর্ষার কারণে পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও যে ঠিকমত পরিকল্পনা সাজাতে পারেনি, সে কথাও কৃষি মন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন।কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আসলে আমাদের প্রডাকশনের আরও আগে একটা প্ল্যান করা উচিত ছিল। আগাম বর্ষা হওয়ায় আমরা করতে পারিনি। প্রডাকশনে লস হয়েছে। মার্চের শেষের দিকে বৃষ্টি হয়েছে। এজন্য পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। দামও অস্বাভাবিক।তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত করতে চাই, পেঁয়াজ বিদেশ থেকে দ্রুত আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এনগেইজ করা হয়েছে।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019