২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ তহিরুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধি::-
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে ঢাকবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। শনিবার রাজধানীর শাঁখারি বাজারে অনির্বাণ সংসদের আয়োজিত ঐতিহাসিক শ্রী শ্রী শনিদেব মন্দিরের বাৎসরিক পূজা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। আমু বলেন বাংলাদেশ পাকিস্তানের মত কোনো সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে জন্মগ্রহণ করেনি। দ্বিজাতি তত্ত্বের মধ্যে দিয়ে জন্মগ্রহণ করেনি। এই বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলমান বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও উপজাতিদের মিলিত রক্তে স্রোত এবং ভারতের ১১শো সৈনিকের রক্ত স্রোতের মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশটিকে অর্জন করেছি। আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলেন আমাদের দেশের সংবিধানের জাতীয় চার মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনসহ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিকে ঘাতকরা হত্যা করে এই দেশে আবারও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির সূত্রপাত ঘটায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে গলা টিপে হত্যা করে একটি নব্য পাকিস্তান সৃষ্টি পায়তারা করেছিল। সাবেক মন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ চলেছে। আজকে সমস্ত সম্প্রদায় নিজ নিজ ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছে। আমরা আনন্দিত আপনারা নিরাপদে আপনাদের শনি পূজা করতে পারছেন। বিএনপির সমালোচনা করে আমু বলেন ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এসে নারী হত্যা নারী নির্যাতন করেছিল। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সনাতন ধর্মের অনেকেই নির্যাতিত হয়েছিল। সেদিন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এখানে ছুটে এসেছিলাম। আজকে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে। পরিবর্তনের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শনিদেব মন্দিরের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি অজয় কুমার নন্দী মদনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাস, বর্তমান সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সরোয়ার হোসেন বাবু, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ সহ আরো অনেকে।