২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৮ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স॥ বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যোনে মোট্রেপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তার স্ত্রীর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের হেলিপ্যাড এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। হামলার সাথে যুক্ত থাকায় ইয়ামি(১৬) নামে এক বখাটে কিশোরকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
হামলার শিকার মোট্রেপলিটন পুলিশের সার্জেন্ট টুটুলের স্ত্রী সিফাত জাহান মীম বাদী হয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনের ছেলে আশরাফুল হকসহ ২৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন।
আটক ইয়ামিস বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন কেডিসি বস্তির বাসিন্দা আলমগীর হোসেনর ছেলেন। তিনি বলেন, হামলায় ঘটনায় টুটুলের স্ত্রী বাদী হয়ে নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামালায় ঘটনায় যুক্তরে মধ্যে একজন কে আটক করা হয়েছে। বাকীদের আটকের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালানা করা হচ্ছে।
হামলার শিকার সিফাত জাহান মীম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বড় বোন, তাদের ছেলে মেয়ে এবং কয়েকজন বন্ধবী মিলে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের হেলিপ্যাড অবস্থান করছিলো। এর কিছুক্ষন পরে ২০ থেকে ২৫টি কিশোর উদ্যোনে হেলিপ্যাডে এসে অবস্থান নিয়ে একটি কেক কাটে। কেক কাটা শেষে তারা মাদক সেবন করছিলো।
এর কিছুক্ষন পরে একটি ছেলে তাদের কাছে গিয়ে মীমের সাথে থাকা পোশা বিড়ালকে গাঁজাতে উদ্যত্ব হয়। ওই কিশোরদের এই ধরনের আচরন দেখে তারা সেখান থেকে চলে যাইতে চাইলে তারা অশ্লালিন অঙ্গবঙ্গি প্রদার্শসহ গলাগাল করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় ইয়ামিন নামে ওই ছেলে লাথি কিলঘুষি মেরে তাকে রাস্তার উপরে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসা দর্শনার্থীরা দেখে তারে মীমকে কিশোর গাং’র হাত থেকে উদ্ধার করেন। হামলার কিছুক্ষন পরে, স্থানীয় ১০ নম্বর কাউন্সিলর জায়নাল আবেদীনের ছেলে আশরাফুল দলবল নিয়ে দ্বিতীয়বার হামলা চালানোর চেস্টা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফলজুল করীম বলেন, ওই ঘটনায় সার্জেন্টের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এতে কিশোর গাং’র ইয়ামিন, রিফাত, আশাফুল, রাতুল , মিরাজ সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ২০জনকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার সাথে যারা যুক্ত ছিলো তারে চিহ্নিত করে সকলকে গ্রেফতার করে আইনে আওতায় আনা হবে। তাতে সে যতবড়ই ক্ষমতাধর হউক না কেন? আটক ইয়মিনকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিঞ্জাসাবাদ করা হয়েছে। শুক্রবার ২৩ অক্টোবর তাকে বিশেষ ব্যাস্থায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।