২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৫৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
বাবুগঞ্জে কাজ না করেই কাবিটা প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাৎ

বাবুগঞ্জে কাজ না করেই কাবিটা প্রকল্পের কোটি টাকা আত্মসাৎ

বরিশাল (বাবুগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচির কাবিটার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন ও কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম মাসুম মৃধার বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা যায়, কাজ না করেই প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, আংশিক কাজ করে প্রকল্পের সমুদয় অর্থ উত্তোলন, এমনকি অন্য প্রকল্পের অর্থে বাস্তবায়িত প্রকল্প দেখিয়ে কাবিটা প্রকল্পের কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। আর এসব অর্থ লুটপাটের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার কে ১০% উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস কে ৩% কমিশন দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে খাতা কলমে প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হলেও এসব প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না ওই সব এলাকার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামের জালাল সরদারের বাড়ি থেকে হাতেম আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার বাবদ ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ২ শত২৬ টাকার একই জায়গার অন্য একটি প্রকল্পে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ২২৬টাকা,একই এলাকার জনতার বাজার থেকে পূর্ব কেদারপুর স্কুল পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার বাবদ ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ২ শত২৬ টাকা উত্তোলন করা হলেও সরজমিনে গিয়ে কোন কাজ পাওয়া যায়নি।
হামজির বাড়ি থেকে মোল্লারহাট খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার বাবদ ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ২ শত২৬ টাকার একই জায়গার অন্য একটি প্রকল্পে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ২২৬টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার আংশিক কাজ করতে দেখা গেছে।

এছাড়াও উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের লাশ ঘাটা থেকে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর কলেজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার বাবদ ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ২ শত২৬ টাকার একই জায়গার অন্য একটি প্রকল্পে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ২২৬ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই ইউনিয়নের চরফতেপুর প্রাইমারি থেকে আক্কেল মাষ্টার এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার বাবদ ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ২ শত২৬ টাকার একই জায়গার অন্য একটি প্রকল্পে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ২২৬টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সে বরাদ্দের কাজেও ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে।

এভাবে বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে একাধিক প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন এর সহায়তায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ সোবাহান খান জানান, হামজির বাড়ি থেকে মোল্লার হাট খেয়াঘাট পর্যন্ত সড়কের কিছু অংশে ১৮ জন শ্রমিক দিয়ে ৪ দিন কাজ করানো হয়েছে। এতে আনুমানিক ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকার কাজ হয়েছে বলে তিনি জানান।

একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান হোসেন জানান, জালাল সরদারের বাড়ি থেকে হাতেম আলীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে আংশিক কাজ হয়েছে বলে জানান।

এ বিষয়ে কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম মাসুম মৃধা বলেন আমি যে বরাদ্দ পেয়েছি তা দিয়ে যতটুকু সম্ভব কাজ করেছি। অন্য কোন নেতারা কাজ করেছেন কিনা সেটা আমার জানা নেই।

অর্থ লুটপাটের অভিযোগের বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।

উল্লেখ্য, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাবুগঞ্জ উপজেলায় কাজের বিনিময়ে টাকার (কাবিটা) ৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এসব প্রকল্পে ব্যয় করা হয় ১ কোটি ৫৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ টাকা এবং একই জায়গায় অন্য প্রকল্পে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭৫ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৬ টাকা। যা বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন কে ১০% ও উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস কে ৩% কমিশন দিয়ে ঠিকাদাররা কাজ না করেই অর্থ উত্তোলন করেছেন বলে জানা গেছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019