২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
রোববার (৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পরপরই ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) জানিয়ে দিয়েছে আগামী নির্বাচন হবে ৯০ দিনের মধ্যে। শিগগিরই এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথাও জানিয়েছে দলটি।
দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল বিরোধী দলগুলো। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সংসদ ভেঙে নির্বাচন এগিয়ে আনতেই আগ্রহী ছিলেন ইমরান। আর রোববারের (৩ এপ্রিল) ঘটনার গতিপ্রকৃতি বলে দিচ্ছে, মূলত সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
এর আগে ইমরান খানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। জিও নিউজের বরাত দিয়ে রোববার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এ ঘোষণার পর দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ হুসেন এক টুইট বার্তায় জানান, ‘সংবিধানের ২২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী (ইমরান খান) তার দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’
রোববার (৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যাওয়ার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন ইমরান খান। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্টকে এই পরামর্শ দেওয়ার কথা জানান তিনি।
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ইমরান বলেন, ‘শাসন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করেছেন ডেপুটি স্পিকার।’
জাতির সামনেই ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করা হচ্ছিল বলে মন্তব্য করে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, ডেপুটি স্পিকার জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর ‘উদ্বিগ্ন’ অনেকের কাছ থেকে বার্তা পেয়েছেন তিনি। ইমরান খান বলেন, “আমি বলতে চাই ‘ঘাবরানা নেহি হ্যায়’ (চিন্তার কিছু নেই)। আল্লাহ পাকিস্তানের ওপর নজর রাখছেন।”
সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রেসিডেন্টকে লেখা এক চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, এখন অব্যশ্যই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত যাতে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে তারা কাকে ক্ষমতায় চায়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা কোনো দুর্নীতিবাজ শক্তি ঠিক করবে না। সংসদ ভেঙে গেলে পরবর্তী নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’