২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ আবেদন করেন।
আবেদনে ৩০ দিনের জন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাসে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ২-১ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জীবনযাপন যতটুকু সম্ভব স্বাভাবিক রেখে করোনা মোকাবিলা করতে চাই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে তো অনলাইন ক্লাসে যেতেই হবে। এখনো আমরা অনলাইনে ক্লাস-অ্যাসাইনমেন্ট চালু রাখছি যাতে কেউ পিছিয়ে না পড়ে। তবে যেখানে অনলাইন ক্লাস সম্ভব না, সেখানে অ্যাসাইনমেন্ট চালু থাকবে।
দীপু মনি বলেন, করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা দেখি, কতটা পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে কতটা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। ওমিক্রনকে অনেকেই হালকাভাবে নিচ্ছেন। তবে ভুলে গেলে চলবে না আমাদের দেশে ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। কাজেই আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১২-১৮ বছর বয়সী ৮৫ লাখ শিক্ষার্থী করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।