২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কওমি মাদরাসায় নজরদারি বাড়ানো হবে

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কওমি মাদরাসায় নজরদারি বাড়ানো হবে

অনলাইন ডেস্ক
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কওমি মাদরাসাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের বিষয়ে অনেকটা উদাসীনতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নজরদারি বাড়ানো হবে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সেখানে নজরদারি করা হবে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওমিক্রন পরিস্থিতি বেড়ে গেলেও সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালিয়ে যাওয়া হবে। তবে আগের চাইতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং ব্যবস্থা বাড়ানো হবে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে কোভিড-১৯ জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কাজটি করা হচ্ছে। সেটিতে নজরদারি বাড়ানো হবে। বিশেষ করে সাধারণ ও কওমি মাদরাসাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে না। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আজ বৈঠক করা হবে। যেহেতু তারা আমদের সঙ্গে সরাসরি নিবন্ধিত নয় বা তারা সরাসরি আমদের নিয়ন্ত্রণে নয়, তাই কওমি মাদরাসাগুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানো হবে। স্থানীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ নজরদারি করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস কার্যক্রম চলছে, সেভাবে চলবে। যদি আমাদের কাছে মনে হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া দরকার, তবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে আমরা আশা করছি, টিকা কার্যক্রম ব্যাপকহারে বাড়ালে বড় ধরনের বিপদ থেকে মুক্ত থাকবো। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার প্রয়োজন হবে না। আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা টিকা নিতে পারবে না তারা বাড়িতে বসে অনলাইনে ক্লাস করবে। তাদের নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। যারা টিকার আওতায় এসবে তারা সশরীরে ক্লাসে আসবে।

১২ বছরের বছরের নিচে শিক্ষার্থীরা টিকা পাচ্ছে না, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বজুড়ে এখনো ১২ বছরের নিচে শিশুদের টিকার ব্যবস্থা চালু হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এ বয়সের শিশুদের ঝুঁকিও কম। তাই তারা ক্লাসে আসতে পারবে। তাদের মনিটরিং করা হবে। তবে যারা ঝুকিপূর্ণ স্থায়ী রোগে আক্রান্ত, তাদের বাড়িতে থেকে অনলাইনে ক্লাস করার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।

১২ বছরের ঊর্ধ্বে যেকোনো শিক্ষার্থী টিকাকেন্দ্রে গেলে টিকা পাবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে। কারও আইডি কার্ড না থাকলে সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দেখালে টিকা দেওয়া হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক প্রমুখ।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019