২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন প্রাধান্য বিস্তার করছে। আক্রান্তের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশটিতে সাম্প্রতিক দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় প্রায় সাড়ে আট হাজারের মতো রোগী যুক্ত হচ্ছে।
করোনা আক্রান্তের সর্বশেষ দৈনিক পরিসংখ্যানে প্রায় সাড়ে আট হাজার রোগী নিবন্ধিত হয়েছেন। আগের দিন যা ছিল চার হাজার ৩০০ জন। দেশটির এক শীর্ষ বিজ্ঞানী বলেন, মধ্য-নভেম্বরে দৈনিক আক্রান্ত ছিল ২০০ কিংবা ৩০০ জন।-খবর বিবিসির
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রন এখন পর্যন্ত অন্তত ২৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
অতি-রূপান্তরিত ভাইরাসটি সর্বপ্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় ধরা পড়েছিল। দেশটির জাতীয় সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট (এনআইসিডি) বলছে, এখন পর্যন্ত সিকোয়েন্স করা ভাইরাসের জেনোমের সত্তর শতাংশ ওমিক্রন।
করোনার সম্ভাব্য অতিসংক্রামক ধরনটিতে সর্বশেষ শনাক্ত হওয়া দেশগুলো হচ্ছে, ভারত, ঘানা, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতেও ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।
ভাইরাসটি নিয়ে বহু প্রশ্নের জবাব এখনো মেলেনি। এমনকি বর্তমানে বাজারে থাকা টিকা মানুষকে এই রোগ থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে, তা নিয়েও কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি।
ওমিক্রনকে উদ্বেগের ধরন হিসেবে তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলছে, এই ভাইরাসে পুনর্সংক্রমণের উচ্চ-ঝুঁকি রয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আক্ষেপ করে বলেছে, ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর যথাযথ পদক্ষেপ নিলেও প্রশংসার বদলে শাস্তি পেতে হচ্ছে।
আর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় তিনি মারাত্মকভাবে নাখোশ হয়েছেন। এটা অন্যায়।