২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
ভেঙে গেলো শিখর ধাওয়ানের ৯ বছরের সংসার।

ভেঙে গেলো শিখর ধাওয়ানের ৯ বছরের সংসার।

স্পোর্টস ডেস্ক
ছেলে জোরাবর ও স্ত্রী আয়েশাকে নিয়ে সুখের সংসারই ছিল ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ানের। বেশ কিছু অনুষ্ঠানে স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন ধাওয়ান। যেখানে জোরাবরের দুষ্টুমি মাতিয়ে রেখেছিল সবাইকে। কিন্তু সেই সংসার টিকলো না ৯ বছরও।

বিচ্ছেদ হয়েছে শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা মুখার্জি দম্পতির। ভারতীয় ওপেনার এ বিষয়ে কিছু জানাননি। তার স্ত্রীর ইনস্টাগ্রাম পোস্টের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই (এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল) জানায় ধাওয়ানের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আয়েশা ধাওয়ান নামে প্রোফাইল ছিল শিখর ধাওয়ানের স্ত্রীর। এখন সেটি নেই। হয়তো মুছে দিয়েছেন তিনি। তবে ‘আপ উইদ আয়েশা’ নামের ভিন্ন আরেকটি প্রোফাইল থেকে জানিয়েছেন বিচ্ছেদের কথা। সেই প্রোফাইলে ছেলে জোরাবরের কিছু ছবি থাকলেও, শিখর ধাওয়ানের কোনো অস্তিত্ব নেই।

আয়েশা লিখেছেন, ‘আমার একসময় মনে হতো বিচ্ছেদ একটা খুব খারাপ শব্দ। তবে দ্বিতীয়বারের মতো একই ঘটনা ঘটার পর আর তা মনে হচ্ছে না। প্রথমবার যখন এটি হলো, আমি বেশ ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, আমি বোধহয় কিছু ভুল করে ফেলেছি। নিজেকে স্বার্থপর মনে হচ্ছিল। মনে হয়েছিল বাবা-মায়ের সম্মান নষ্ট করছি। বিচ্ছেদ এতটাই খারাপ শব্দ বলে মনে হতো তখন।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘তাহলে একবার ভাবুন, দ্বিতীয়বারের মতো এর মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। এরইমধ্যে একবার বিয়ে ভাঙায়, দ্বিতীয়বার আরও বেশি দায়িত্ব ছিলো আমার কাঁধে। আমাকে আরও বেশি কিছু প্রমাণ করতে হতো। দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ে ভেঙে যাওয়া সত্যিই ভয়াবহ অনুভূতি। মনে হচ্ছিল, দ্বিতীয়বারও আমি পারলাম না। ভয়, ব্যর্থতা, হতাশা… এসব একশ’ গুণ বেড়ে গিয়েছিল। বিয়ে, সম্পর্ক আমার কাছে এসবের মানে কী?’

ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিংয়ের বন্ধু ছিলেন কিকবক্সার ও ক্রীড়াপ্রেমী আয়েশা মুখার্জি। হরভজনের প্রোফাইল থেকে আয়েশার ছবি দেখে ভালো লেগে যায় শিখরের। অগ্রজ সতীর্থের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে যোগাযোগ শুরু। যা একসময় ভালো লাগা থেকে রুপ নেয় ভালোবাসায়।

কিন্তু রাজি ছিলো না শিখরের পরিবার। কারণ দুজনের বয়সের ব্যবধান প্রায় দশ বছর। তার ওপর আয়েশার সঙ্গে ছিলো প্রথম সংসারের দুই সন্তান রিয়া ও আলিয়া। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পরিবারকে রাজি করিয়ে ২০০৯ সালে আয়েশার সঙ্গে বাগদান সেরে রাখেন শিখর।

তবে তখন তিনি বিয়ে করেননি, সময় নিয়েছিলেন নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার আরেকটু গুছিয়ে নেয়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অবস্থান তৈরির পর ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আয়েশা ও শিখর। ২০১৪ সালে তাদের সংসারে আসে একমাত্র সন্তান জোরাবর।

কিন্তু ২০২১ সালে এসে আলাদা হয়ে গেলো আয়েশা-শিখরের পথ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়েশার পোস্ট থেকে বিষয়টি জানা গেলেও, এ বিষয়ে এখনও কিছু বলেননি শিখর। তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আরব আমিরাতে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019