২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১২ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা! দর্শনায় দাড়ানো ট্রাকে আগুন ধরিয়েছে দুর্বৃত্তরা বিরামপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বড় বোনের ইন্তেকাল
স্বামী স্ত্রীকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে নামাজ পড়তে গেলে এসে দেখে ঘরে আগুন জ্বলছে।

স্বামী স্ত্রীকে ঘরে তালাবদ্ধ রেখে নামাজ পড়তে গেলে এসে দেখে ঘরে আগুন জ্বলছে।

অনলাইন ডেস্ক:: গার্মেন্টকর্মী সুমন মিয়া সন্ধ্যায় তার স্ত্রী সম্পা আক্তারকে (২২) ঘরে রেখে বাহির থেকে তালা মেরে মসজিদে নামাজ পড়তে যান। এসে দেখেন পুরো বাড়িতে আগুন জ্বলছে। ঘর তালাবদ্ধ থাকায় ভেতর থেকে বের হতে পারেননি সম্পা। স্ত্রীকে বাঁচাতে ঘরের সামনে যাওয়ার চেষ্টা করেও আগুনের তাপে যেতে পারেননি সুমন মিয়া। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ভেতরে থাকা সম্পার অঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেন।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার ইলিয়াস সরদারের ভাড়া দেয়া বাড়িতে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে সম্পা আক্তার আগুনে পুড়ে মারা যান।

নিহত সম্পা আক্তার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার পলমা গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী এবং জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার ফৈটামারী এলাকার সোহরাব হোসেনের মেয়ে। গত ৭-৮ মাস আগে পারিবারিকভাবে সুমন ও সম্পার বিয়ে হয়। তারা ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার ক্রনী গ্রুপের অবন্তি কালার নামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
নিহতের স্বামী সুমন মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তাদের সংসার খুব ভালোভাবে চলছিল। দুজনে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে সুন্দরভাবে চলছিল। শুক্রবার কারখানা বন্ধ ছিল। আমরা দুজনই বাসায় ছিলাম। সন্ধ্যায় নামাজ পড়ার জন্য ঘর থেকে বের হবো এমন সময় স্ত্রী আমাকে বলে, ‘আমি একটু ঘুমাবো বাহির থেকে তালা মেরে যাও।’ তার কথা মতো বাহির থেকে তালা মেরে নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। নামাজ শেষে এসে দেখি বাড়িতে আগুনে জ্বলছে। ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও আগুনের তাপে সামনে যেতে পারছিলাম না। খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরো বাড়ি পুড়ে যায়। আমার চোখের সামনে আগুন জ্বলছে, কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারলাম না।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার ইলিয়াস মিয়ার বাড়িতে টিনের দোতলা বাড়ি। নিচে ১০টি এবং দোতলায় ১০টি রুম তৈরি করে ভাড়া দেয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্য়ায় দোতলা থেকে হঠাৎ করে আগুন লেগে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে পুরো বাড়ি পুড়ে যায়। বাড়িতে বসবাসকারী ভাড়াটিয়ারা তাদের ঘর থেকে বের হতে পারলেও ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারেননি। খবর পেয়ে ফতুল্লার বিসিক ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও পুরো বাড়ি পুড়ে যায়। বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে থাকা সম্পা আক্তার নামে এক গার্মেন্টকর্মী নিহত হন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন জানান, কীভাবে আগুন লেগেছে এখনো তা জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। আগুনে নিহত নারীর পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019