০৭ মে ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন, ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে  মনোনীত অফিসার-ফোর্সদের ব্রিফিং প্যারেড অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শাহজালাল (র.) ওরস উপলক্ষে ঐতিহাসিক লাকড়ি তোড়া উৎসব অনুষ্ঠিত কালকিনিতে বজ্রপাতে প্রতিবন্ধীর নিহতের পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা বানারীপাড়ায় অধ্যাপক নিত্যানন্দ শীলের পরলোকগমণ বিয়ের দাবিতে অনশন নাটক, ৫ লাখ টাকায় রফাদফা বরিশালের সাবেক মেয়র কামালের স্ত্রী ও দুই সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা বরিশালে সর্বজনীন পেনশন মেলা চুয়াডাঙ্গায় আদালতে মায়ের জবানে নিজ শিশু সন্তানকে হত্যার দোষ স্বীকার ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পে “
গোঠা সিলেট জুড়ে গ্রাম গঞ্জে করোনার থাবা।

গোঠা সিলেট জুড়ে গ্রাম গঞ্জে করোনার থাবা।

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: গোঠা সিলেট জুড়ে ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসের আক্রামনে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যাহা সিলেটের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হিসেবে ধরা হচ্ছে। একই সময়ে ১ হাজার ৮৭০ নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৭৩৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এটিও সিলেট বিভাগে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
বুধবার (২৮ জুলাই) সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ্য যে ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৩৪১ জন, সুনামগঞ্জে ১১৬, হবিগঞ্জে ৫৪ এবং মৌলভীবাজারে ২২৫ জন শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলে সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৬৫৪ জন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, যারা করোনা ভাইরাসে পরিক্ষা করতে আসছেন শহরের হাসপাতাল কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর বেশির ভাগ মানুষ হচ্ছে গ্রামের মানুষ। অনেকের জ্বার সর্দি কাশি রোগে ভূগছেন,অনেকের আবার সর্দি কাশি ছাড়া পরীক্ষা করাচ্ছেন করোনা। বেশির ভাগ শনাক্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে বলে জানা যায়।
এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২০ হাজার ৮০০ জন, সুনামগঞ্জে ৪ হাজার ৩২২ জন, হবিগঞ্জে ৪ হাজার ৩৪৭ জন এবং মৌলভীবাজারে ৫ হাজার ১০৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা। জানাজানি হবে এই ভেবে করোনাক্রান্তগণ ভয়ে নীরবে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে কোন নিয়ম কানুন মানছে না কেউ। মৌলভীবাজারে রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী এলাকায় করোনার সব উপসর্গ নিয়ে পরীক্ষা না করে সম্প্রতি কয়েকজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আবার অনেকে গ্রামের হাতুড়ে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, করোনা মহামারি থেকে মানুষ বাঁচাতে এসব এলাকায় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের তদারকি জরুরী হয়ে পড়েছে। নইলে ঘরে ঘরে নিয়মিত মৃত্যুর সংখ্যা গুনতে হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019