২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
হামাস-ইসরায়েল লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলা চলছে। সোমবার (১০ মে) দিনগত রাত থেকে এ পর্যন্ত শিশু ও এক নারীসহ ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
উত্তেজনা বাড়লে সড়কগুলো অধিকাংশই খালি হয়ে যায়, লোক চলাচল নেই। দোকানপাট বন্ধ, লোকজন ঘরে অবস্থান করছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে ঘরেও তারা নিরাপদ থাকতে পারছেন না।
হামাস মুখপাত্র ফাওয়াজ বারহুম বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের নাগরিকদের ওপর জায়নবাদীদের আগ্রাসন বন্ধ না হবে, ততদিন পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা, বিশেষ করে হামাস প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাবে। দখলদার বাহিনী গাজা, জেরুজালেম ও আল-আকসাকে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।-খবর আরব নিউজের
গাজার বিভিন্ন স্থাপনা, বাড়ি ও কৃষি এলাকায় ইসরাইলি যুদ্ধবিমান হামলা চালাচ্ছে। এছাড়া হামাস ও ইসলামী জিহাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতেও আঘাত হানছে বোমা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা সামরিক অভিযানের মধ্যবর্তী অবস্থায় রয়েছি। হামাস ও ইসলামী জিহাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস বলেছে, আগ্রাসন প্রতিরোধে আমাদের মুজাহিদেরা অবস্থান করছিল এমন জায়গায় শত্রু বিমান আঘাত হেনেছে, এতে আমরা শহীদ হয়েছি, আমাদের লোকজন নিখোঁজ হয়েছেন।
দীর্ঘ লড়াইয়ে গাজাজুড়ে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। কেউ স্বজন হারিয়েছেন, কারও বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। আল-সাথি শরণার্থী শিবিরের তিবা ভবনের ষষ্ঠতলায় থাকেন রাশেদর আল-সাঈদ।
তিনি বলেন, বোমার আঘাতে বাড়ির ছাদ ভেঙে তার পরিবারের ওপর পড়েছে। তারা যখন সেহরি খেয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, তখন এই হামলা করা হয়েছে।
বর্তমানে আলশিফা হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ৫৭ বছর বয়সী এই ফিলিস্তিনি বলেন, এটা ছিল এক কঠিন রাত। যখন আমরা ঘুমাতে যাই, তখন আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়, বাড়ি ছাদ আমাদের ওপর ভেঙে পড়ে।