২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ওয়েব ডেস্ক
মহামারিতে এ যাবতকালের সবচেয়ে প্রাণঘাতি দিনটি পার করেছে ভারত। বুধবার (২৮ এপ্রিল) দেশটিতে তিন হাজার ২৯৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভারতে করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, সত্যিকারের প্রাণহানির সংখ্যা সরকারি হিসাবের দ্বিগুণ বা তার চেয়ে বেশি হবে। কারণ ভারতে ৮০ শতাংশ মৃত্যু সরকারি হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়নি। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল এমন খবর দিয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় তিন লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন এই রেকর্ডে হাসপাতালগুলো রোগীতে ভরে গেছে। ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে বলা যায়। কবে যে এই সংকটের অবসান হবে—তাও বলা যাচ্ছে না।
আহমেদাবাদ ও গুজরাটে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের মর্গে সারি সারি মরদেহ পড়ে আছে। লাশ দাফন করতে ও দাহ করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বজনেরা অপেক্ষা করছেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরভিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, যে অতিসংক্রামক ধরনের কারণে করোনার নতুন এই ঢেউ, তাতে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মূলত করোনার এই ধরনের আক্রান্ত হলে তাতে সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগে।
বিবিসি রেডিও ৪-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা নরেন্দ্র তানেজা বলেন, ভারতে করোনায় সঠিক মৃত্যুর সংখ্যা কেউ বলতে পারবে না। তবে সরকারের ইচ্ছাকৃত প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা গোপন করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।
বিজেপির এই নেতা বলেন, ভারতের মতো এই বিশাল দেশে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াল করা সম্ভব না। কাজেই হিসাবে কোনো গড়মিল থাকলে তা বেরিয়ে আসবে।
অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ ও জীববিদ্যার অধ্যাপক গৌতম মেনন বলেন, যেসব মানুষকে রক্ষা করা যেত, তারাও এখন মারা যাচ্ছেন। বিভিন্ন রাজ্যের মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম করে দেখানো হচ্ছে।
নয়াদিল্লিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা করেন জিতেন্দ্র সিং শান্তি। তিনি বলেন, যারা বাড়িতে মারা যাচ্ছেন, তাদের হিসাবে রাখা হচ্ছে না। যদি তাদেরও হিসাব করা হতো, তাহলে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১০ থেকে ৫০ জন হতো।
তিনি বলেন, যখন আমি বাড়িতে যাই, আমার শরীর থেকে পোড়া মাংসের গন্ধ আসে। আমার জীবনে এত মরদেহ কোনোদিন দেখিনি।