০২ মে ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বিদেশে পালানোর সময় শত কোটি টাকা আত্মসাতের হোতা বিমানবন্দরে গ্রেফতার উসকানিতে নিজের রুটি-রুজির সংস্থান ধ্বংস করবেন না: শেখ হাসিনা চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে মে দিবস পালিত নানা আয়োজনে ঘোড়াঘাটে মে দিবস পালিত বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এগিয়ে বিলকিস ঝালকাঠিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত” আজকের ক্রাইম নিউজে চুয়াডাঙ্গার মনোহরপুর বৈশাখী মেলার নামে জুয়ার আসর সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় রাতে প্রশাসনের হানা বরিশালে প্রধানমন্ত্রী সচিব পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সেই প্রতারক গ্রেপ্তার বরিশালে শ্রমজীবি মানুষের মাঝে খাবার স্যালাইন ও লেবুর সরবত বিতরন নীলফামারীতে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
মায়ের সাক্ষীতে পুলিশ কর্মকর্তা ছেলের কারাদণ্ড। আজকের ক্রাইম-নিউজ

মায়ের সাক্ষীতে পুলিশ কর্মকর্তা ছেলের কারাদণ্ড। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স
যশোরে মায়ের সাক্ষীতে যৌতুক মামলায় আজম মাহমুদ নামে এক উপ-সহকারী (এসআই) পুলিশ কর্মকর্তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নিলুফার শিরিন এ রায় দেন। রায় ঘোষণা শেষে বিচারক দণ্ডিত আজম মাহমুদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসআই আজম মাহমুদ মামলার কারণে সাময়িক বরখাস্ত হয়ে সর্বশেষ কুষ্টিয়ার পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি যশোরের মণিরামপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০০ সালে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের একরাম আলীর মেয়ে রাবেয়া আক্তারকে বিয়ে করে আজম মাহমুদ। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে আজম। পুলিশের এএসআই পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য দেড় লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে এসআই পদে পদোন্নতির জন্য ফের ৫ লাখ টাকা যৌতুক নেয়। এরপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। আজম চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকলেও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে যেতো না। সর্বশেষ আজম ২০১৮ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় চাকরিকালে জান্নাতুল নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। এ বিষয়ে আপত্তি তোলায় ফের নির্যাতন শুরু হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৭ জুন দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয় নিয়ে গোলযোগ বাধলে আজম রাবেয়াকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় সে জানিয়ে দেয় আরও ৫ লাখ টাকা যৌতুক এনে না দিলে তাকে নিয়ে সংসার করবে না। এমনকি বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ কারণে রাবেয়া আক্তার স্বামী, শ্বশুরসহ ছয়জনকে আসামি করে ২০১৯ সালের ১১ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যৌতুকে মামলা করেন। পরবর্তীতে আদালত আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন।

রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল জানান, এ মামলায় আজম মাহমুদের বিরুদ্ধে তার গর্ভধারিণী মা ফিরোজা বেগম সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি আদালতে পুত্রবধূর ওপর গা শিউরে ওঠা নির্যাতনের বর্ণনা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজম মাহমুদকে বিচারক তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণা শেষে বিচারক দণ্ডিত আজম মাহমুদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019