২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৪২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
টিকার অভাব নেই ভারতে, কিন্তু নেওয়ার লোক নেই! আজকের ক্রাইম-নিউজ

টিকার অভাব নেই ভারতে, কিন্তু নেওয়ার লোক নেই! আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
টিকার অভাব নেই, কিন্তু ভয়ে এগিয়ে আসছেন না কেউ। ইউরোপের উল্টো ছবি ভারতে। কারণ, অনেকেই মনে করছেন ভারত বায়োটেকের করোনা টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়াল ঠিকমতো শেষ করেনি। প্রকাশ্যে আসেনি সাফল্যের তথ্য। তাই ভয়, টিকা নিলে যদি কিছু হয়!

দেশটির বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ভারতে প্রাথমিকভাবে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষিত হয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন- এই দুটি টিকা পেয়েছে অনুমোদন। দুটি টিকাই দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই ভারত বায়োটেকের টিকার ওপর ভরসা করতে পারছেন না।
ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স অব পটনার চিকিৎসক বিনোদ কুমার ঝুঁকির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ৪০ শতাংশ চিকিৎসক চাইছেন অপেক্ষা করতে। তার দাবি, ‘আমাদের (স্বাস্থ্যকর্মীদের) ওপর করোনার টিকার ট্রায়াল চালানোর তো কোনও মানে হয় না, যেখানে ভারতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা এমনিতেই কম।’

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাইয়ের মধ্যে ভারতে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দিতে গেলে যে গতিতে টিকাকরণ হওয়ার কথা, তা হচ্ছে না। সোমবারের (২৫ জানুয়ারি) হিসাব অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে লক্ষ্যমাত্রার ৭৫ শতাংশ মানুষ টিকা নিয়েছেন ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিহারে টিকাপ্রাপ্তের শতাংশ ৫১ দশমিক ৬। ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজস্থানে লক্ষ্যমাত্রার ৫৫ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে ৫৪ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের হিসেব করলে দেখা যাবে, কোভ্যাকসিনে নথিভুক্তের ২৩ শতাংশ টিকা নিয়েছেন, সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে সেই শতাংশের হিসাব ৫৬।
সরকারের পক্ষ থেকে দুটি টিকাই নিরাপদ বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে। ভারত বায়োটেকের তৃতীয় দফার ট্রায়াল হয়নি বলে অনেকেই মনে করছেন, এটি একরকম ট্রায়ালের মতোই প্রয়োগ করা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের শরীরে। তবে পৃথিবীর সবখানে এমন ভয় কাজ করছে, তা কিন্তু নয়। ভারত ছাড়া জাপান, চিন ও ব্রাজিলে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে ছবিটা উল্টো। সেখানে টিকা নেওয়ার লোক আছে, কিন্তু পর্যাপ্ত টিকার সরবরাহ নেই। সেই কারণেই ভারতের থেকে টিকা কিনতে চেয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম ও সৌদি আরব।
যে টিকাকে ঘিরে এত সন্দেহ, সেই ভারত বায়োটেকের প্রধান কৃষ্ণা এলা জানিয়েছিলেন, সংস্থা ২০০ শতাংশ স্বচ্ছ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালিয়েছে। ১৬টি নিরাপদ টিকা তৈরির ইতিহাস রয়েছে সংস্থার। তাই একে সন্দেহ করার মানে হয় না। একই সুরে টিকা নেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। কোভ্যাকসিন নিয়ে গুজব উড়িয়ে দিয়েছে তিনিও।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019