২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা!
অমরজিৎ পৃথিবীর ‘সবচেয়ে কম বয়সী’ সিরিয়াল কিলার। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অমরজিৎ পৃথিবীর ‘সবচেয়ে কম বয়সী’ সিরিয়াল কিলার। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
শিশুটির বয়স মাত্র ৮ বছর। নাম অমরজিৎ সাদা। অথচ এ বয়সেই সে খেতাব পেয়েছে সিরিয়াল কিলারের। বলতে গেলে ৩ খুনের আসামি সে। খুন করে সে দুঃখিত নয়, হেসেছিল প্রাণ খুলে।

খুনের তালিকায় আছে নিজের আপন বোন। রয়েছে আরো ২ জন শিশুও। বলা হচ্ছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার এই অমরজিৎ। থাকেন ভারতের বিহারের মুশাহার গ্রামে।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে মাত্র ৭ বছর বয়সে নিজের ৬ বছর বয়সী চাচাতো বোনকে খুন করে সে। এরপর খুন করা যেন তার নেশা হয়ে দাঁড়ায়। অমরজিৎ এর খুনের তালিকায় এরপর যুক্ত হয় তার নিজের ৮ মাসের আপন বোন।

অমরজিতের চাচা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেন, পরিবারের সবাই ওর খুনের বিষয়গুলো জানত। তবে সবাই পারিবারিক বিষয় বলে বাইরে জানাজানি করতে চাননি।
২০০৭ সালে তৃতীয় খুনটি করে অমরজিৎ। এবার সে খুন করে ৬ মাসের শিশু খুশবুকে। খুশবুর মা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি যখন স্কুলে গিয়েছিলেন; তখন শিশুটি ঘুমাচ্ছিল। স্কুল থেকে ফিরে তিনি খুশবুকে খুঁজতে থাকেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর অমরজিৎ এসে খুশবুর মায়ের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করে। সে জানায়, শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এরপর মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে অমরজিৎ। এমনকি হত্যার পর ৬ মাস বয়সী শিশুটিকে কবরও দিয়ে দেয়।
গ্রামবাসীকে অমরজিৎ নিজেই কবর দেওয়ার স্থান দেখিয়ে দেয়। এরপর পুলিশ এসে গ্রেফতার করে তাকে। নিয়ে যায় হাজতে। পুলিশের কাছেও সে তার খুনের অপরাধ স্বীকার করে।
তবে এসব উত্তর দেওয়ার সময় অমরজিৎ শুধুই হাসছিল। খুনের কথা স্বীকার করলেও অন্য কোনো প্রশ্নের উত্তর সে দেয়নি। তবে পুলিশের ভাষ্য, একটু পরপরই সে পাগলের মতো হাসে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অমরজিৎ অন্যকে কষ্ট দিয়ে নিজে পায়। এমন মানসিক রোগে আক্রান্তরা শুধু অন্যকে কষ্টই দিতে জানে। এটাই তাদের আনন্দ।
গ্রেফতারের পর শিশু অপরাধী হিসেবে প্রথমে অমরজিৎকে চিলড্রেন্স হোমে রাখা হয়। এ ছাড়াও টানা ৩ বছর সে মনোরোগবিদের কাছে কাউন্সিলিং গ্রহণ করে। ১৮ বছর বয়সে ২০১৬ সালে সে মুক্তি পায়। বয়স কম থাকায় ও মানসিক রোগের কারণে বিচারক তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাননি। তাই ১১ বছর পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বর্তমানে অমরজিতের বয়স ২২ বছর তবে গোপন রাখা হয়েছে তার বাসস্থানের ঠিকানা। পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে তার নামও। বর্তমানে সে কোথায় আছে, তার খোঁজ জানে না কেউ।
সূত্র: দ্য সান

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019