০৩ মে ২০২৪, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শুক্রবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
দামুড়হুদায় কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত, খাবার পেল এতিমখানা গৌরনদীর ধানডোবা গ্রামে স্ত্রীর অধিকার পেতে তিন মাসের আন্তঃসত্ত্বা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন ঢাকা রিজিয়ন টুরিস্ট পুলিশ ও নেক্সট টুর অপারেটর এর মধ্যে আলোচনা ও মতবিনিময় স্মার্ট বাবুগঞ্জ গড়ার প্রত্যয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বপনের গনসংযোগ আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে : এসএম জাকির হোসেন কালকিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ সম্পন্ন ঝালকাঠিতে আর ডি এফ’র কিশোরী কর্মী সহ দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে পন্ড ও আর্থিক জরিমানা দামুড়হুদায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে চেয়ারম্যান পদে ২জন সহ প্রার্থী হয়েছে ১৩ জন বাকেরগঞ্জের দাড়িয়ালে সড়ক নির্মানে দূর্নীতি ও অনিয়ম
আগামী ৫ বছর ইলিশ রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা নেই : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

আগামী ৫ বছর ইলিশ রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা নেই : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
বাণিজ্যিকভিত্তিতে ইলিশ রপ্তানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছরে ইলিশ রপ্তানি করা যৌক্তিক হবে না। এখনো গ্রামের অনেক মানুষ ইলিশের স্বাদ নিতে পারে না। তাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ খাওয়ার সুযোগ করে দিতে চাই।

তারপর ইলিশ রপ্তানির কথা ভাবা যাবে। ’
আজ বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটানা দায়িত্ব পালনের যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, গত ১২ বছরে সরকারের সুব্যবস্থাপনার কারণে ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। আমরা অবৈধ জাল নির্মূলে কাজ করেছি, ইলিশ নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।

ডিম ছাড়ার সময় কোনোভাবেই ইলিশ মাছ ধরতে দেয়া হয়নি, জাটকা নিধন বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া চোরাইপথে ইলিশ ধরা বন্ধ করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় এবছর আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, আমরা মাঠে গিয়েছি। এসবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে জনগণ ভোট দিয়ে একটানা ১২ বছর সরকার পরিচালনার সুযোগ দেওয়ায় আমরা দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি আজ বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। ছয়টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন। তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না আসলে বাংলাদেশে হয়তো তলাবিহীন ঝুড়ি অথবা দুর্নীতিতে বার বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত হতো।

বিশ্বের কাছে কোনো মর্যাদা থাকতো না। আজ কোভিড ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নততর অবস্থায় পৌঁছেছে।
দেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা অতীতে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে একটি ভালো নেতৃত্ব থাকায় কীভাবে তার জাদুকরী নেতৃত্বে একটি দেশ অনেক বেশি উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারে। ’

গত ১২ বছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে ছিল ২.২৯ মিলিয়ন মে. টন সেটা ২০১৯-২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৮ মিলিয়ন মে.টন। ১২ বছর পূর্বে মাংসের উৎপাদন ছিল ১.০৮ মিলিয়ন মে.টন, ২০১৯-২০ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭.৬৭ মে.টন, ডিমের উৎপাদন ছিল ৪.৭ বিলিয়ন বর্তমানে সেটা ১৭.৩৬ বিলিয়ন। মৎস্য উৎপাদন ২০১০ সালে ছিল ৩০.৬২ লক্ষ মে.টন বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪.৮৮ লক্ষ মে.টন। ২০১০ এ ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৯ লক্ষ মেট্রিক টন এখন উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৫.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন।

মন্ত্রী বলেন, ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বের বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম স্থানে আছি। দেশীয় ৬৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪টি প্রজাতির মাছ বিভিন্ন আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য আমরা জিন ব্যাংক করেছি। এটি অভাবনীয় সাফল্য। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে একুশে পদক অর্জন করেছে।

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাথাপিছু গড় আয় এখন ২০৬৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৫০ বছরের কম সময়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয়েছে। শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, জিডিপির উন্নয়ন, শিল্প রপ্তানি, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ অনেক অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পদ্মা সেতু, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর, মেট্রোরেল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চলছে। আশা করি ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একুশতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে একটি নেতৃত্বের কারণে। শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশে কোথায় পৌঁছে যেতে পারে, তা আজ প্রমাণিত। শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ।

তিনি বলেন, যারা দেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে চায়, আবার জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি দিতে চায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করতে হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019