২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
বরিশালে অসুস্থতার অজুহাতে দেখিয়ে স্ত্রীকে দিয়ে শিক্ষকতা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

বরিশালে অসুস্থতার অজুহাতে দেখিয়ে স্ত্রীকে দিয়ে শিক্ষকতা। আজকের ক্রাইম-নিউজ

আজকের ক্রাইম ডেক্স: স্ত্রীকে দিয়ে কাজ করিয়ে প্রায় এক বছর ধরে স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বরিশালের চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও ওই শিক্ষক দাবি করেছেন, অসুস্থতার কারণে তিনি মাঝে মধ্যে স্কুলে যেতে না পারলে তখন তার স্ত্রী গিয়ে তার কাজগুলো করে দেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নগরীর চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোফাজ্জেল হোসেন শরীফ ওরফে রোকন বছরের পর বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে স্কুল কমিটির সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কাগজপত্র তৈরি করে বেতন ভাতার সুযোগ গ্রহণ করে চলছেন এবং তার স্ত্রীকে দিয়ে অবৈধভাবে বদলি কাজ করাচ্ছেন। মোফাজ্জেল হোসেন শরীফ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নিজে লাভবান হচ্ছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, আমি প্রতিদিনই স্কুলে যাই। আমি বেশি অসুস্থ থাকলে আমার স্ত্রী গিয়ে আমার কাজগুলো করে দেয়। সেও এখানে খণ্ডকালীন হিসেবে রয়েছে। আমি ভারতে চিকিৎসা করিয়েছি, তাছাড়া অপারেশন হয়েছে দুইবার। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূর হোসেন বলেন, সে অসুস্থ এটি সঠিক এবং সে লাঠি ভর দিয়ে স্কুলে আসে। ২-১ দিন অসুস্থ থাকলে তার স্ত্রী এসে কাজ করে দেয়। তাছাড়া স্কুলের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় আমরা খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিতে পারছি না। এসব অভিযোগের বিষয়ে চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমারকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করে যুগান্তরের পরিচয় পেয়ে ভুল নাম্বার বলে কেটে দেন।

পরে তিনি বরিশালের পেশাজীবী শিক্ষক সংগঠনের এক নেতাকে দিয়ে ফোন করিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করান। শুধু তাই নয়, এ অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে বরিশাল ব্যুরো অফিসকে অনুরোধ করেছেন বলেও জানান ওই শিক্ষক নেতা। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক নেতাকে অভিযোগের সত্যতা না থাকলে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ফোন রিসিভ করে যুগান্তর পরিচয় পেয়েই ফোন কেটে দেন কেন- আর কেনই বা আপনাকে দিয়ে অনুরোধ করাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বরিশাল আঞ্চলিক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, একজনের চাকরি আরেকজন করতে পারে না।

এরকম কোনো নিয়ম নেই। আমরা অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, এ রকম চাকরি কারও করার সুযোগ নেই। কেউ এটা করতে পারবে না। সূত্র:যুগান্তর

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019