২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মো: জাকিরুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রতিনিধি ::-
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে শীতের তীব্রতা। শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে শীতের পোশাক কেনারও ধুম পড়েছে পোশাক বাজারে। উচ্চবিত্তরা বড় বড় মার্কেটে ছুটলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা ছুটছে পুরাতন পোশাকের দোকান গুলোতে।
গরীবের সুপার মার্কেট ক্ষ্যাত ডুগডুগী গরুর হাট সংলগ্ন পুরাতন পোশাকের দোকান গুলো ইতোমধ্যে বেশ জমে উঠেছে। সপ্তাহে একদিন রাস্তার দুইপাশে প্রায় ২০টি দোকানে বিক্রি হচ্ছে পুরাতন সব পোশাক। দিনের শুরুতে এইসব দোকান গুলো খোলা হলেও বেচাকেনা শেষে সন্ধ্যার পর পরই এগুলো আবার বাড়ি নিয়ে যায় বিক্রেতারা।
এ সকল দোকান গুলোতে নিন্ম আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা ভিড় জমাচ্ছে। সোমবার বিকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দেশী বিদেশী পুরোনো বাহারি সব পোশাকে সাজানো এইসব দোকান গুলো। একদাম-একদর, দেখে নিন-বেছেনিন, আগে আসলে আগে পাবেন এই ধরনের হরেক রকম স্লোগানে ক্রেতাদের আকৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিক্রেতারা।
৪০-৫০টাকা থেকে শুরু করে ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে পোশাক গুলো। সয়েটার, জ্যাকেট, কোর্ট, ব্লেজার, গেঞ্জিসহ বিভিন্ন পোশাকের দিকে ঝুকছে মানুষ। তবে বেশি বিক্রি হচ্ছে জাম্মপার ও জ্যাকেট। চকশ্যাম নগর থেকে আসা হাসিব নামে এক জন সোমবার ডুগডুগী গরুরহাট সংলগ্ন পুরাতন পোশাকের দোকানে এসেছে পোশাক কিনতে। কথা বলা হলো তার সাথে।
কয়টা পোশাক কিনলেন জানতে চাইলে, বেশ সাচ্ছন্দ্যেই উত্তর দিলেন, তিনটা কিনেছি। আগামী সপ্তাই আবার আসবো। বেশ ভালো ভালো পোশাক পাওয়া যাচ্ছে কম দামে। যেগুলো দোকান থেকে কিনলে তার দাম ডাবল হতো।
আলমডাঙ্গা উপজেলার রাশেদুল ইসলাম হিরক নামের এক দোকানদার তিনি বলেন, প্রতি বছর শীতের মৌসুমে আমি ব্যবসা করি। শীত মৌসুমে ব্যবসায় লাভ ভালো হয়। তবে এবার দাম বেশি নেওয়ায় আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে একটু বেশি দামে।
অপর ব্যবসায়ী মহর আলী বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম এলাকা থেকে এসব পোশাক আসে। পোশক গুলো বেশির ভাগই বিদেশী। আমরা কিনে নিয়ে আসি দ্বিতীয় পাটির কাছ থেকে। আমরা কুষ্টিয়া থেকে এসব পোশাক সংগ্রহ করি। প্রতি গাইটে ২-৩ হাজার টাকা লাভ হয়। আবার যদি পোশাক খুব ভালো হয়ে যায় সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণটাও বেশি হয়ে যায়।