২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৫ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাংলাবান্ধায় ভারসাম্যহীন নারী গণধর্ষণেন শিকার চার ধর্ষক আটক বাবুগঞ্জে ছাত্রদল নেতা হত্যাকাণ্ড: ২১ জনের নামে মামলা! দর্শনায় দাড়ানো ট্রাকে আগুন ধরিয়েছে দুর্বৃত্তরা বিরামপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের বড় বোনের ইন্তেকাল
খুলনাকে ফাইনালে নিলেন মাশরাফি। আজকের ক্রাইম-নিউজ

খুলনাকে ফাইনালে নিলেন মাশরাফি। আজকের ক্রাইম-নিউজ

অনলাইন ডেস্ক
বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে ৩৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন ফরচুন বরিশালের জহুরুল ইসলামের ব্যাট থেকে দলের আরও লম্বা ইনিংস দরকার ছিল। জহুরুল আউট হওয়ার পর দলও হারে ২০ রানে। আজ প্রথম কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে আগের ম্যাচের ভুল করেননি।

উইকেটে থিতু হয়েছেন। ফিফটি করেছেন। ফিফটিকে লম্বা করেছেন। ৮০ রানের ইনিংস খেলে দলকে ২০০ ছাড়ানোর ভিত গড়ে দেন। এরপর বাকি কাজটা করেছেন আরেক অভিজ্ঞ মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৪ ওভারে ৩৫ রানে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়ে খুলনাকে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে তোলার ম্যাচে ম্যাচসেরা হন তিনি। মাশরাফির বোলিংয়েই চট্টগ্রামকে ৪৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় খুলনা।

জহুরুল দলকে ভালো ভিত্তি এনে দিয়েছেন।
জহুরুল দলকে ভালো ভিত্তি এনে দিয়েছেন।ছবি: প্রথম আলো
রাতের শিশিরে উইকেট দিনের ম্যাচের চেয়ে কিছুটা ভালো হওয়ার কথা। ১৫০-১৬০ রান করে এই উইকেটে জেতা কঠিন হতো। খুলনাকে নিরাপদে নিতে আরও বড় কিছু করতে হতো। আজ আবার জাকির হাসান ছিলেন না চেনা ছন্দে। শুরু থেকেই খেলছিলেন ডট বল। দ্রুত রান করা ও এক প্রান্ত ধরে রাখার দায়িত্বটা বর্তায় জহুরুলের ওপর। ৫১ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি।

জহুরুলের গড়া মঞ্চ পেয়ে খুলনার বাকি যে ব্যাটসম্যানই ক্রিজে এসেছেন, তিনিই বড় শট খেলেছেন। ইমরুল ১২ বলে করেন ২৫ রান। সাকিবের ব্যাট থেকেও আজ এসেছে দ্রুত রান। ১৫ বলে ২৮ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। বড় ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ৯ বল খেলে ৩০ রান করেন খুলনার অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত খুলনার রান ২০ ওভারে ২১০।

বড় রানের চাপ সামাল দিতে গিয়ে চাপে ভাঙে চট্টগ্রামের ব্যাটিং লাইন আপ। এর পেছনের বড় কারিগর ছিলেন মাশরাফি। খুলনার জন্য ভয় হতে পারতেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। শুরুতেই দুজনের উইকেট নেন মাশরাফি। প্রথম স্পেলের ওই দুই ওভারই চট্টগ্রামকে পিছিয়ে দেয়। মাঝে এক ওভার করতে এসে আউট করেন উইকেটে থিতু হওয়া তিনে নামা ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসানকে। শেষে এসে আরও দুই উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি। ৪ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।

চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস অধিনায়ক মিঠুনের। ৫৩ রানের ইনিংসটা থামতেই দ্রুত গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম। ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১৬৩ রানে।

চট্টগ্রাম কাল বিকেলে এলিমিনেটর জেতা বেক্সিমকো ঢাকার বিপক্ষে খেলবে। কালকের ম্যাচে জয়ী দল ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালে খেলবে খুলনার বিপক্ষে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019