২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
জ্যেষ্ঠ এএসপি আনিসুল করিমের মর্মান্তিক মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও সহকর্মীরা। এরই মধ্যে গাজীপুরে নিজ গ্রামে দাফন সম্পন্ন হয়েছে আনিসুলের। তিন বছরের সাফরানকে নিয়ে শোকে স্তব্ধ এএসপি আনিসুল করিম শিপনের স্ত্রী শারমীন।
অকালে স্বামীকে হারিয়ে তার জীবনে যেন নেমে এসেছে অমানিশা।
মানসিকভাবে অসুস্থ এএসপি আনিসুল করিমকে সুস্থ করে তুলতে কর্মস্থল বরিশাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন স্বজনরা। ভর্তি করা হয় আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে। কিন্তু মুহূর্তেই সব এলোমেলো হয়ে যায়। সুস্থতার পরিবর্তে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে ফেরে আনিসুল করিমের নিথর দেহ।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় গাজীপুর শহরের রাজবাড়ী মাঠে জানাজা শেষে আনিসুলের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সাধারণ মানুষ। পরে তাকে কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন।
তার দীর্ঘদিনে বন্ধুরা জানান, এই মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। একজন মানুষকে কীভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আনিসুল করিম। ৩১তম বিসিএস ক্যাডারে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। সবশেষ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। রেখে গেছেন স্ত্রীসহ তিন বছরের ছেলে সাফরানকে।