২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স: সম্পত্তি দখল করতে না পেরে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমাদের বাঁচান আমরা বাঁচতে চাই। ওরা আমাদের ঘর বাড়ী দখল করে নিয়েছে। যা বাকী আছে তাও দখলের চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার শহীদ আবদুর বর সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ লিখিত অভিযোগ করেছেন বরিশাল নগরীর বটতলা গোড়াচাঁদ দাস সড়কের বাসিন্ধা সাগুফতা ফাতেমা। তিনি বলেন, আমার পিতা শেখ শাহ আলম বাবু দুইটি বিবাহ করেন। প্রথম পক্ষের স্ত্রী ঘরে অভিযুক্তকারী সাবিব্বর আলী শেখ আমার বড় সৎ ভাই। তিনি মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত এবং বিভিন্ন মামলার আসামীও আদালত পোড়া মামলার ৮নং আসামী। ২য় স্ত্রীর ঘরে দুই বোন এক ভাই। মা বাবা বোনদের নিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ বটতলা গোড়াচাঁদ সড়কের নিজ বাসায় বসবাস করে আসছি।
তাদের বাবা শেখ শাহ আলম সাবু ২০১৯ সনের ১৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। তাদের বাবা মৃত্যুবরন করার পর আমাদের পিত্রালয় বটতলার বাসা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য মেতে ওঠে। ২০২০ সনের ১০ জুন মাদক সেবন করে সাব্বির আলী শেখ ও তার সহযোগী খলিলুর রহমান ওরফে(সুমন প্যাদা) ও ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সঞ্জিব কুমার (পিংকু) আমাদের পৈত্রিক বাসায় ঢুকে আমাদের কে বাসা থেকে উৎখাত করার চেষ্টা করে এবং বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে ফাতেমার মা বাবলী আলম কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
এমনকি ২০২০ সনের ১৭ আগস্ট পুনরায় আমাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। ২০২০ সনের ২৮ অক্টোবর আরেকটি সাধারণ কোতয়ালী থানায় ডায়েরী করে,যার নম্বর ১৫৪৮ । আদালতে ভাগ বণ্টনে মামলা থাকা সত্ত্বেও উক্ত অভিযুক্ত আইনের তোয়াক্কা না করে ২০২০ সনের ৪ নভেম্বর সকাল ১১ টায় আমাদের বাসায় ঢুকে আমাদেরকে বেদম মারধর করেন ওই সন্ত্রাসী বাহিনী। বাসায় আসবাবপত্র ভাংচুর করেন । বাসার জিনিসপত্র ভেঙে রাস্তায় ফেলে দেয়। ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেন।
ফাতেমা জানান, তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্সকাতর স্থানে সাব্বির ও সুমন প্যাদা ব্যাপক আঘাত করেন এবং খলিলুর রহমান (সুমন প্যাদা) তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি এর বিচার দাবী করেন।প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আকুতি যানায়।যাতে ওই ভূমি খেকো ও ধর্ষন চেস্টা কারীর আইনের আওয়াতায় আসে সেই দাবী করেন ফাতেমা ও তার পরিবার।