২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৩ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তুষার (২৮) কে গত ২৩ আগস্ট, দিবাগত রাত ১০টা ৫০ মিনিটের সময়। বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, ওসিকে অবহিত করে মহানগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড এলাকার রাণী নগরের বাসিন্দা তুষারকে, হাসপাতালের সামনে থেকে ৭ গ্রাম হেরোইন-সহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছিলেন এসআই উত্তম ও এএসআই মনিরুল-সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তুষারকে গ্রেফতার করার জেরে, তার স্ত্রী মিতু রহমান রিমা, বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এসআই উত্তমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন, জাগো নিউজ নামক একটি অনলাইন পোর্টালে।
গ্রেফতারকৃত আসামী তুষার ওই এলাকার মৃত গোলাম মোস্তাফার ছেলে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, নগরীর শহীদ মিনার এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কমেলার বাড়ির পাশেই তুষারের বসতবাড়ী। মহাসড়ক ঘিসে ফুটপাতের উপরে হেয়ার স্টাইল সেলুনের দোকান ছিল এই তুষারের। কিন্তু দোকানের আড়ালে চালিয়ে যেতেন রমরমা মাদক ব্যবসা। পুলিশের সোর্স পরিচয়ের অপব্যবহার করে মাদকসেবীদের কাছে দীর্ঘদিন যাবত, ইয়াবা ট্যাবলেট, গাঁজাসহ, ভারতীয় ফেনসিডিলের ব্যবসাও চালিয়ে আসছিলেন তুষার এবং তার স্ত্রী মিতু রহমান (রিমা)। এক অভিনব কায়দা খাটিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় রাস্তার পাশে স্বামীর স্টাইল সেলুনের নাম ভাঙ্গিয়ে গোপনে, গোপনে, মাদকের কারবার চালিয়ে কাঁচা-পয়সা ভালোই রোজগার করে আসছিলেন। তবে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। যার মধ্যে চিহ্নিত গাঁজা ব্যবসায়ী কমেলা বেগম (৩৭) লিলি বেগম, (৩৫) সখিনা বেগম, (৩১) কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মুল্লুক (৩৪) এর পাশেই তুষারের বাড়ী। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করে গোপনে, গোপনে, দীর্ঘদিন যাবত মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন তুষার এবং সহযোগী তার স্ত্রী মিতু রহমান রিমা।
এসময় কয়েকদিন আগে সম্প্রতি সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু হলে, স্টাইল সেলুনটি ভাঙা পড়ে যায়। এরপর ফুটপাতের উপরে বসে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যেতো তুষার। মহানগরীর শহীদ মিনার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তুষার, মহানগর ডিবি পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী তুষার ওই এলাকায় বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে, মাদকের ব্যবসাও চালিয়ে যেতেন। এদিকে থানা পুলিশের সোর্স গিরি করে বেড়ায়, আবার পুলিশের সাথে মিশে, গোপনে গোপনে, মাদকের কারবার টিকিয়ে রাখেন তুষার। এবিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক উত্তম বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তুষারকে টার্গেট রেখে ৭ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার করেন বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই উত্তম।
এসআই উত্তম জানান শহীদ মিনার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তুষারের নামে থানায় একাধিক মাদকের মামলাও রয়েছে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদকের মামলা চলমান রয়েছে। বেশ কয়েকটি মাদক মামলার বাদী আমি নিজেই। মাদক মামলায় এখনো জেল হাজতে রয়েছে তুষার। মাদক ব্যবসায়ী থানা পুলিশের সোর্স গিরি চালিয়ে ২৫নং ওয়ার্ড এলাকায় চিহ্নিত গাঁজা ব্যবসায়ী কোমেলা বেগম, কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মুল্লুক ও তার স্ত্রী সখিনা বেগমসহ, ইয়াবা ব্যবসায়ী লিলি বেগমের সঙ্গে ২০১২ সাল থেকে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন তুষার। এই কারণে মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করায় মিথ্যা অপপ্রচারে নেমেছে স্ত্রী মিতু রহমান রিমা।
এর আগে নগরীর শহীদ মিনার এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী কমেলা বেগম ও মুল্লুকের স্ত্রী সখিনার সাথে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মারামারীর ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানায়, মাদক ব্যবসার অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ও খদ্দেরদেরকে নিজ নিজ পক্ষে টানাটানিকে কেন্দ্র করে কমেলা ও মুল্লুকের স্ত্রী সখিনা, চিহ্নিত হেরোইন ব্যবসায়ী তুষার তার স্ত্রী মিতু রহমান ও কমেলার বোন লিলি বেগমের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। এরই জের ধরে চারজন নারী মাদকব্যবসায়ীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। এ সময় কমেলা তার বেশ কয়েকজন পোষা মাদকসেবী দূর্বৃত্তদের ডেকে সখিনার বাড়িতে হামলা চালায়। পরে সখিনাও তার পোষা মাদকসেবী দূর্বৃত্তদের ডেকে কমেলার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় দুই পক্ষের দৃর্বৃত্তদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এবং একে অপরের বাড়িতে ভাংচুর চালায়।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কমেলাসহ ওই এলাকায় চারজন নারী দুইজন যুবক মুল্লুক ও থানা পুলিশের সোর্স তুষারের দাপটে ২০১২ সাল থেকে অর্থাৎ ৭ বছর যাবত মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। এ মাদক ব্যবসার কাজে ১০/১২জন মাদকাসক্ত যুবক, মাদকসেবীদের নিকট মাদক পৌঁছে দিতেন, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তুষার এবং তার স্ত্রী মিতু রহমান রিমা।