০৪ মে ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥
করোনা আক্রান্ত বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীলের রোগ মুক্তি কামনায় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিপ্লবী কুমুদ বিহারী গুহ ঠাকুরতা প্রতিষ্ঠিত বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় দূর্গা ও কালি মন্দিরে রাত সাড়ে ৮ টার সময় বিশেষ এ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল মুখে তেঁতোভাব ও অরুচিবোধ করলে ২৩ আগস্ট রবিবার দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করাতে দেন। সেখান থেকে ২৫ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি বর্তমানে বরিশাল শহরের বাসায় আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরিশাল জেলা শাখা’র আজীবন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় বানারীপাড়া উপজেলা পূজা উদযাপন ও পৌর পরিষদ বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করেন। প্রার্থনার গুরুভাগে থেকে সভা পরিচালনা করেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ দাস। প্রার্থনা সভায় আরাধনরত ছিলেন, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর গৌতম সমদ্দার,উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দেবকুমার সরকার, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক স্বপন হালদার, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন বনিক, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমম রায় (সুমন), সহ-সভাপতি সুমন দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিত বড়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয় সাহা, কোষাধ্যক্ষ দীপংকর শীল, কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দূর্গা ও কালী মন্দির কমিটির সদস্য হৃদয় খাসকেল, বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় লোকনাথ মন্দিরের সহ-সভাপতি তারক কর্মকার, শ্রী গুরু সংঘ এবং অবধুত সংঘের নেতৃবৃন্দ, মহানাম সেবক সংঘ বানারীপাড়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক বনিক, বানারীপাড়া সনাতনী ছাত্র ও যুব পরিষদ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ডাঃ সাগর চন্দ্র শীল প্রমূখ। প্রসঙ্গত কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি করোনাকালে এলাকাবাসীর পাশে থাকতে পৌরভবনে ‘ঘরবসতি’ গড়ে তোলেন জনদরদী মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল। দেশের মানুষ করোনা ভাইরাসে প্রথম সংক্রমিত হওয়ার পরে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টাইন শুরু হলে ২৪ মার্চ থেকে তিনি তার বরিশাল শহরের বাসায় প্রিয়তমা স্ত্রী ও আদরের সন্তান রেখে একা বানারীপাড়া পৌরভবনে বসবাস শুরু করেন। এখানে থেকে তিনি পৌরবাসীর সার্বক্ষিন খোঁজখবর রাখার পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়া নি¤œআয়ের দরিদ্র পরিবারের বাড়ি বাড়ি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতেন। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে দিয়েছেন নানা দিকনির্দেশনা।এছাড়া সরকারী বরাদ্দ সঠিক ভাবে বিলি বন্টনের জন্য আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বিত মতামত নিয়ে তালিকা প্রণয়ন করতেন। ###