২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীর কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল সরদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি,মাদকসেবন,জুয়াখেলাসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৫ নভেম্বরের দিকে উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক সম্মেলনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয় রেজাউল সরদার ও সাধারণ সম্পাদক হয় মিলন গাজী। তার কিছু দিন পরই সাধারণ সম্পাদক মিলন গাজীকে সাময়িক বহিস্কার করেন জেলা ছাত্রলীগ। পরে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদককে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পর থেকেই নিজের ইচ্ছামত ও বিএনপি-জামায়েতের লোকজন নিয়ে ছাত্রলীগ কমিটি পরিচালনা করেন সভাপতি রেজাউল সরদার। ছাত্রলীগ সভাপতির ক্ষমতার প্রভাব কাজে লাগিয়ে মাদক সেবন,জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজির মত অপরাধে লিপ্ত থাকেন তিনি। এসব অভিযোগ এনে চলতি মাসের ১৩ তারিখ সভাপতি রেজাউল সরদারকে কেন বহিস্কার করা হবে না জানতে চেয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা ছাত্রলীগ।
নাম প্রকাশে অনইচ্চুক একাধিক গুরুত্বপূর্ন পদে থাকা ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ছাত্রলীগকে ভালোবাসি তাই ছাত্রলীগ করি। কিন্তু সভাপতি তার নিজের ইচ্ছামত বিএনপি-জামায়েতের লোকজন নিয়ে ছাত্রলীগকে পরিচালনা করেন। ছাত্রলীগ ব্যবহার করে তার বাড়ির পাশে ব্রিজের শ্রমিকদের থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তুলছে যা স্থানীয় ভাবে মিমাংশাও হয়েছে। জুয়া খেলার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়েছে । মাদক সেবনকালে পাশবর্তী উপজেলা কলাপাড়ায় গিয়ে লোকজনের হাতে ধরা পড়েন। এমন কি কমিটি গঠনকালে তিনি বিবাহিত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে সেই বউকে তালাক দিয়ে দেন।
এদিকে দলীয় কোনো সভা সমাবেশে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের কাউকে না বলে নিজে একাই সবকিছুর সিদ্ধান্ত নেন। এসব অনিয়মের কোনো কিছুই তিনি তোয়াক্কা করে না। ছাত্রলীগকে তার পারিবারিক ভাবে চালাচ্ছেন। এতে ত্যাগি ছাত্রলীগ কর্মীদের অমূল্যয়ন করা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে সংগঠনের সহসভাপতি,যুগ্ন সম্পাদক, সাংগঠনিক, কার্য নির্বাহী সদস্যসহ একাধিক নেতাদের। তার দাবি করেন ছাত্রলীগের সম্মান বাঁচানোর জন্য সভাপতির পদত্যাগ চাইছেন।
এবিষয়ে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আল-আমিন বলেন,সভাপতি রেজাউল সরদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি,জুয়া,মাদক সেবন ও ছাত্রলীগকে নিজের পারিবারিক ভাবে ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়গুলো জেলা-উপজেলা নেতাদেও জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল সরদার বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে সকল ছাত্রলীগ কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী অভিযোগ এনছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আর জেলা কমিটি আমাকে কারদর্শাও নোটিশ দিয়েছে ফেজবুকে আমি কিছু পোস্ট ও কমেন্ট করার কারনে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন স্বপন বলেন,এসকল বিষয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে আমরা জেলা ছাত্রলীগের কাছে জানাই। ছাত্রলীগের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে ইউনিয়ন কমিটি স্থাগিত ঘোষনা করে সভাপতি রেজাউলকে কারণদর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়।