০৬ মে ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ঝালকাঠি জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পে “ দর্শনার মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসায় অভিভাবক সম্মেলন,নাজেরা ও হিফ্জুল কুরআান বিভাগের ক্লাস উদ্বোধন বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখীর আশঙ্কা বরগুনায় ডলার ও রিয়াল প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে আনসার সদস্যের আত্মহত্যা আশ্রয়ণের ৮০ ঘর সাত লাখে বিক্রি করলেন চেয়ারম্যান কাবিননামায় দেনমোহর নিয়ে প্রতারণা, স্ত্রী গ্রেফতার গৌরনদীতে আ.লীগের ১০৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান বাবুগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তরুণ ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের গণসংযোগ
করোনা মোকাবেলা ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা দেখিয়ে প্রশংসিত প্রকৌশলী মহসিন

করোনা মোকাবেলা ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা দেখিয়ে প্রশংসিত প্রকৌশলী মহসিন

রাহাদ সুমন,বিশেষ প্রতিনিধি॥
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো.
মহসিন-উল-হাসান একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে তার কর্মস্থলে নিজেকে অল্প
দিনেই সুপরিচিত করতে পেরেছেন। পৌর শহর সহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন’র
প্রত্যন্তগ্রামঞ্চলে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে এমনটাই জানা গেলো
উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের এ কর্মকর্তার সম্পর্কে। সরেজমিনে উঠে আসে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা “গ্রামকে শহরের ন্যায় গড়ে তোলার
কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই কর্মকর্তা ৮টি ইউনিয়নের গ্রাম থেকে গ্রামে
ঘুরছেন। এ সময় তিনি কিভাবে গ্রামকে শহরের মতো করে সাজানো যায় সে বিষয়ে
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধি সমাজের সাথে কথা বলছেন। ইতোমধ্যেই তিনি
উপজেলার বিভিন্ন অতিজনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দু’পাশে স্ট্রিট লাইট স্থাপন
করে আলো ছড়িয়েছেন গ্রামীণ জনপদে। এদিকে উপজেলার অধিকাংশ দরিদ্র পরিবারে
সোলার বিদ্যুৎ স্থাপন করে আলোরবাতিঘরে পরিণত করে প্রশংসিত হয়েছেন। তার
কার্যালয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষ স্বাছন্দে কথা বলতে পারায় সম্পূর্ণ উপজেলাকে
ডিজিটালাইজড করে গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে চলছে বলে মনে করছেন সর্বস্তরের
আমজনতা। এদিকে কোভিড-১৯ প্রাণঘাতি নভেল করোনাভাইরাসকে মোকাবেলার পাশাপাশি
স্বচ্ছতার সঙ্গে উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রেখে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন
কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. মহসিন-উল-হাসান সর্ব মহলে প্রশংসা ও সুনাম
কুড়িয়েছেন। দেশে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর লকডাউন ও
হোম কোয়ারেন্টাইনের কারণে কর্মহীণ হয়ে পড়া দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে
তিনি একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি অর্জণ করেন। তিনি স্থানীয়
সংসদ সদস্য মো.শাহে আলম,উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ফারুক ও উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদের সঙ্গে সকাল থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত পৌর শহর সহ উপজেলার দূর্গম জনপদের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত
ছুঁটে বেড়িয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্য
সামগ্রী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া খাদ্য সামগ্রী যাতে
স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে পৌঁছে দেওয়া যায়
সেজন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন।গরীব ও অসহায় মানুষের সেবা করা ও তাদের
পাশে দাঁড়ানোই যেনো তার সেবা ও ব্রত।করোনাকালে শুধু মানবসেবায় নিজেকে
নিয়োজিত করে রাখেননি তিনি। মানবসেবার পাশাপাশি সরকারী সকল উন্নয়নমুলক
কাজকে স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সঠিক
নির্দেশনা দেওয়া ও সার্বক্ষনিক তদারকি করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশক্রমে কোন প্রকার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ছাড়াই দূর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত ত্রাণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে
ভূমিকা রাখেন তিনি। এ উপজেলার রিকশাচালক,ভ্যানচালক,অটো চালক,অন্ধজন
-শারিরিক প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ প্রকৃত গরীব ও অসহায়
দিনমজুরদের তালিকা তৈরী করে তাদের মাঝে পৌছে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর
ত্রান সামগ্রী। এছাড়া মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও শিশুদের জন্য
প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া খাদ্য সামগ্রী যথাযথভাবে বিতরণ করা হয়েছে। এখন
পর্যন্ত এ উপজেলায় ৩শ’ ৯০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৪ লক্ষাধিক টাকা ৩৯
হজার গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। পবিত্র ঈদ-উল আজহা
উপলক্ষে উপজেলায় আরো ১১ হাজার ২৬৭ পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল
বিতরণ কার্যক্রম চলছে। শুধু সরকারী অনুদানই নয় বেসরকারী ভাবে প্রাপ্ত সকল
অনুদানও সুষ্ঠভাবে বন্টন করতে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখেন। এ প্রসঙ্গে
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. মহসিন-উল-হাসান
বলেন,করোনার প্রভাব শুরুর পর থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহে
আলম,উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ
আব্দুল্লাহ সাদীদের নির্দেশনা মোতাবেক প্রকৃত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের
তালিকা তৈরী করে তাদের ঘরে ঘরে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া
হয়। এ উপজেলায় কোন দরিদ্র পরিবার সরকারী ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হননি। তিনি
বলেন এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার পরিবারকে সরকারী ত্রান সামগ্রী বিতরন করা
হয়েছে এবং এখনো ত্রান বিতরন কার্যক্রমন চলমান রয়েছে। শুধু ত্রান বিতরণই
নয় এর পাশাপাশি উপজেলার সকল উন্নয়ন মুলক কাজ স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে
বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন মানুষের সেবা করার মহান ব্রত নিয়ে
চাকরিতে যোগদান করেছি এবং আমৃত্যু সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশ এবং জাতির
কল্যাণে নিয়োজিত থাকবো। ###

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019