২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
নাতিকে বাঁচাতে গুলির সামনে বুক পেতে দিলেন দাদু!
নাতিকে নিয়ে সকাল বেলায় দুধ কিনতে বাজারে যাচ্ছিলেন কাশ্মীরের বাসিন্দা বশির। কথায় বলে বিপদ কখনও বলে আসে না। বিপদ যে মাঝ রাস্তায় কে জানতো। হঠাৎ ভারতের সিআরপিএ জওয়ানদের কনভয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে স্বাধীনতাকামীরা।
পাল্টা গুলি চালায় ভারতীয় সেনারাও। আর সেই গুলির মাঝে পড়ে যান কাশ্মীরের বাসিন্দা বশির আর নাতি আয়াত। নাতিকে বাঁচাতে নিজের শরীরই গুলির দিকে পেতে দিয়েছিলেন বশির। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। দাদুর মরদেহের সামনেই ঘোরাঘুরি করছিল শিশুটি।
সেই মুহূর্তে সিআরপিএফ জওয়ানরা বাচ্চাটিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জঙ্গিদের গুলি আটকাতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি এনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য তার আগেই গোলাগুলির মাঝে ৮০ মিটার হামাগুড়ি দিয়ে বাচ্চাটির কাছে পৌঁছে যান সো আর পি এদের ৯৫ ব্যটেলিয়ানের জওয়ান পবন কুমার চৌবে। বাচ্চাটিকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর গুলি লাগার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু তিনি সেসব ভাবেননি। ওই সময় বাচ্চাটিকে বাঁচানোই তাঁর কাছে আসল লক্ষ্য ছিল।
পবন জানিয়েছেন, বাচ্চাটি তার দাদুর মৃত দেহের আশপাশে ঘুরছিল। কখনও আবার দাদুর মৃতদেহের ওপর গিয়ে বসছিল। পবন ও তাঁর সঙ্গীরা সেটা দেখতে পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠেন। এরপরই পবন জীবন বাজি রেখে বাচ্চাটিকে বাঁচাতে যান। সেই সময় জঙ্গিরা এলোপাতাড়ি ফায়ারিং করছিল। কোনো রকমে বাচ্চাটিকে বাঁচিয়ে আনেন পবন।
রক্তে মাখামাখি নানার মরদেহ আর নাতির কান্নার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এ সংঘর্ষের খবরটা তাই আর পাঁচটা দিনের চেয়ে আলাদা হয়ে ঝাঁকিয়ে দিয়েছে ভারতসহ গোটা বিশ্বকে।
জম্মু কাশ্মীরের সোপোর এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা চালায় সেখানকার স্বাধীনতাকামীরা। হামলায় নিহত হয় ভারতের একজন জওয়ান। আর গুরুতর আহত হয়েছেন তিনজন।