২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
জলিলুর রহমান স্টাফ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমফান এর জন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দের ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এরপরও আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা বরগুনার তালতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ।
বুধবার(২১ মে) সকালে তালতলী উপজেলায় কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় অনেক আশ্রয় কেন্দ্রই ফাঁকা।
স্থানীয়রা বলেন, মূলত বড় ধরণের ঝড় সৃষ্টি না হওয়ায় সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে শুরু করেনি। বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্র ফাকা পড়ে আছে। অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন।কেউ বলছেন ১০ নম্বর সংকেত চললেও নেই তার কোনো প্রভাব । যার কারনে আশ্রয় কেন্দ্রে যাইনি। তবে এতে সচেতন মহল বলছে দ্রুত এই উপকূলীয় মানুষগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,গ্রাম পুলিশ,সিপিপি সদস্যেরা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার অনুরোধ করলেও আমলে নেয় না এ উপকূলীয় লোকজন।
যদিও এ উপজেলায় ৫৩ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লক্ষর বেশি মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এদিকে সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং অব্যাহত রয়েছে এবং টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্ন সম্বলিত পতাকা। এছাড়া নদীতে বৃদ্ধি পেয়েছে পানির উচ্চতা। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া মিলছে না। ঝুঁকির আশঙ্কা জেনেও ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না লোকজন।
স্থানীয় সোবাহান ফরাজী,আনোয়ার,নিজামসহ একাধীক লোকজন বলেন ঘূর্ণিঝড়ের কোনো নমুনা দেখা যায়না তাই বাড়িতে আছি। ভিটেমাটি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে ইচ্ছা করছে না।
উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়াডের গ্রাম পুলিশ সৈয়দ আহম্মেদ বলেন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গেলেও তারা আমলে নেয়নি। তবুও আশ্রয় কেন্দ্রে আসার অনুরোধ করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী ফয়সাল সিকদার বলেন এখন ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত চলে। এখন যদি মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে না যায় তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ে। আমি নিজেও গতকাল রাত থেকে সকাল পযন্ত মানুষের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে। তবুও যদি কেউ না আসে প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগ করে নিয়ে আসা হবে।