২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০১ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁতে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়নি বা দেশ স্বাধীন হয়নি প্রধানমন্ত্রী।

কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁতে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়নি বা দেশ স্বাধীন হয়নি প্রধানমন্ত্রী।

অনলাইন ডেস্ক:: কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁতে দেশে যুদ্ধ শুরু হয়নি বা দেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ভাবলে দুঃখ হয় যে ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের দেশে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। আমি জানি না যারা এই ভাষণ মুছে ফেলতে চেয়েছিল তারা এখন লজ্জা পায় কিনা। অবশ্য তাদের লাজলজ্জা আছে বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশে এমন একটা সময় ছিল যখন মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, সেটাও মুছে ফেলা হয়েছিল। এমনভাবে বিকৃত ইতিহাস তৈরি করা হলো, যেন কোনও এক মেজর বাঁশিতে ফুঁ দিলো আর অমনি যুদ্ধ হয়ে গেলো আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেলো। অথচ সে নিজেই চাকরি করতো বাংলাদেশ সরকারের অধীনে। ৪০০ টাকা বেতন পেতো। তাকেই ঘোষক বানানোর চেষ্টা হয়েছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মুজিববর্ষ উদযাপনে অনেক কর্মসূচির চিন্তা করছি। জাতির পিতা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পায়। তিনি সংবিধানে মৌলিক চাহিদার কথা উল্লেখ করে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এ জন্য তিনি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হাতে নিয়েছিলেন। মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না।’

আওয়ামী লীগ নেতাদের নিজের এলাকায় খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের ঘর নেই তাদের আমরা ঘর করে দেবো। আমরা চাই একটি মানুষও যেন গৃহহারা না থাকে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, আমার এই কথাটা দেশের সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেন। আপনারা চেষ্টা করেন ঘর করে দিতে। না পারলে আমরা টাকা দেবো ঘর করার জন্য।’

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ সারা বিশ্বে একমাত্র ভাষণ, যা হিসাব করে পাওয়া যাবে না কতজন কত ঘণ্টা এই ভাষণ শুনেছেন। সারা পৃথিবীতে একটি ভাষণ এভাবে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন রাখতে পারাটা নজিরবিহীন। বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার জন্য আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। সারা বিশ্বের স্বীকৃতি পেয়েছি। সারা জীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পরই আমাদের মাতৃভাষার ওপর আঘাত এলো। তারা আমাদের ওপর উর্দু চাপিয়ে দিলো। তখনই বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিলেন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দেশকে স্বাধীন করা ও একটি জাতি সৃষ্টি করা, পৃথিবীর খুব কম রাজনৈতিক নেতাই তা করতে পেরেছেন।’ ৭ মার্চের ভাষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভাষণ দেওয়ার আগে অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, জাতির পিতা জানতেন কিভাবে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে। ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন আমার মা। যেকোনও ক্রান্তিলগ্নে আমার মা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। আমার মা বলেছিলেন, তুমি সারা জীবন মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছো। তোমার মনে যে কথা আসবে তুমি সে কথাই বলবে। ভাষণটা দেখলে বুঝবেন তিনি কিন্তু তার মনের কথাই বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ভাষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সবাইকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশে একটি গেরিলা যুদ্ধে হবে। সেখানে কার কী দায়িত্ব সে কথাও তিনি বলে দিয়েছিলেন। তখন ৩২ নম্বর থেকে যে নির্দেশ আসতো সে অনুযায়ী দেশ চলতো। এমনকি ইয়াহিয়া খান যখন ঢাকায় আসেন তখন বাঙালি বাবুর্চিরা কাজ করবে না বলে জানিয়ে দিলো। তখন ৩২ নম্বরে ফোন আসে, আপনারা যখন পর্যন্ত না বলবেন ততক্ষণ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট খাবার পাচ্ছেন না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার (শেখ মুজিব) ভবিষ্যদ্বাণী করার অদ্ভুত শক্তি ছিল। ৭০-এর নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, আমরা নির্বাচনে জয়লাভ করবো। কিন্তু তারা ক্ষমতা দেবে না। পরে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করবো। ৭ মার্চের ভাষণে তিনি সব ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। বক্তৃতা শেষে তিনি একথাও বলেছিলেন তার ওপর আস্থা আছে কিনা। জনগণও জানিয়েছিলেন আস্থা আছে। মানুষ তাদের কথা রেখেছিলেন। তিনি যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, জনগণ তা আক্ষরিকভাবে পালন করেছেন।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019