২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৭ অপরাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:শিক্ষার মান উন্নয়ন ছাড়া টেকসই জাতি গঠন সম্ভব নয়— এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, ইউট্যাব প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের রওশন আরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে “শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বর্তমান প্রেক্ষাপট” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি সামনে এগোতে পারে না। শিক্ষককে সম্মান, শিক্ষার্থীর নৈতিক শিক্ষা এবং মাদকমুক্ত সমাজ—এই তিনের সমন্বয়েই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নেতৃত্বে এগিয়ে আসবে।”
ড.ওবায়দুল ইসলাম আরও বলেন, শহর–গ্রাম নির্বিশেষে সবার জন্য সমমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। তিনি শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগে শিক্ষার পরিবর্তন ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মো. শামীম। তাঁরা আধুনিক ও ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থা, শিক্ষক মর্যাদা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা এবং নতুন শিক্ষাক্রমের চ্যালেঞ্জ–সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত মতামত উপস্থাপন করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রওশন আরা স্মৃতি মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আল আজাদ। তিনি বলেন,“পরিবার–শিক্ষা প্রতিষ্ঠান–সমাজ—এই তিন স্তরের সমন্বয় ছাড়া শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি অসম্ভব।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ইয়াদসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক–শিক্ষিকাবৃন্দ।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, মাদক প্রতিরোধ, শিক্ষক–শিক্ষার্থীর সুসম্পর্ক, আধুনিক পাঠদান পদ্ধতি, ডিজিটাল শিক্ষা এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা শুধু পাঠ্যবইনির্ভর নয়; নৈতিকতা, মানবিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধের চর্চাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
স্থানীয়ভাবে এ মতবিনিময় সভা শিক্ষকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা ও সচেতনতা সৃষ্টি করেছে। অংশগ্রহণকারীদের মতে, বিশেষজ্ঞদের দিকনির্দেশনা ভবিষ্যতে শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”