২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এর ৫০ বছর পূর্তীতে ঝালকাঠি জেলা জাসাসের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর কৃষকের প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত হলো ঝালকাঠি সদর উপজেলার ইকো পার্ক

এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস আর কৃষকের প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত হলো ঝালকাঠি সদর উপজেলার ইকো পার্ক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো “তারুণ্যের উৎসবে কৃষকের আনন্দ”—একটি বর্ণাঢ্য আয়োজন, যেখানে কৃষি ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য একসূত্রে গাঁথা হয়ে ধরা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো: রায়হান কাওছার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) (যুগ্মসচিব) মো: সোহরাব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশরাফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফারহানা ইয়াসমিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পরিবেশিত হয় লোকসংগীত “আমার মাইঝ্যা ভাই, সাইঝ্যা ভাই”, যার সঙ্গে কৃষক পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নৃত্য পরিবেশন করেন। এরপর একে একে আয়োজন করা হয় বউ সাজানো প্রতিযোগিতা, যেখানে স্বামী চোখ বেঁধে তাঁর স্ত্রীকে সাজান, তৈলাক্ত কলাগাছে ওঠার প্রতিযোগিতা, যা দর্শকদের মধ্যে হাস্যরসের জন্ম দেয়, এবং বউ কোলে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতা, যা ছিল উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।

এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা, বস্তা দৌড়, দড়ি টানাটানি ও দাড়িয়াবান্ধা—এমন সব ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, যা আমাদের শেকড়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় কৃষকেরা উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন, আর দর্শকরাও প্রাণভরে উপভোগ করেন এই আয়োজন।

এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কৃষকদের তারুণ্যের উৎসবে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের দেশগঠনে উদ্বুদ্ধ করা। কৃষিই বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পরিবেশবান্ধব কৃষির প্রসার ঘটাতে ও কৃষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তরুণদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। এই ধরনের আয়োজন কৃষকদের পরিশ্রম ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে কৃষির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে—এটাই সকলের প্রত্যাশা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019