২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মো: নাঈম মোঘল বানারীপাড়া প্রতিনিধি : বানারীপাড়া দক্ষিন নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দায়ের করে সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অত্র বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও শিক্ষিকা বৃন্দ। অভিযোগ সূত্র জানা যায় অবৈধ নিয়োগকৃত, দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, অশালীন আচরণকারী প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তৎকালীন এমপি মোঃ শাহ আলমের সহযোগিতায় বড় অংকের ঘুষ দিয়ে ওই বিদ্যালয় জামাল হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অপকর্ম জড়িয়ে পড়েন স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের উপরে জুলুম নিপীড়ন নির্যাতন গায়ে হাত তুলতে পর্যন্ত দ্বিধাবোধ করতেন না শিক্ষিকাদের শ্লীনতা হানি সহ ছাত্রীদের শ্লীনতা হানি করতেন এর পরিপেক্ষিতে স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে শ্লীনতা হানির অভিযোগে এনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও ছাত্রদের গায়ে অযথা চড় থাপ্পর মারতেন ছাত্রীদের হিজাব পরা নিষেধ করেন যে সকল ছাত্রীরা স্কুল ড্রেস পরে আসতে না পারতো তাদের ড্রেস খুলে ফ্লোর পরিষ্কার করতে বলতেন। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী আব্দুল হাইকে তার কক্ষে বসেই অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করেন। আব্দুল হাইয়ের পরিবার তৎকালীন এমপি শাহ আলমের ভয়ে হত্যার বিচার চাইতে পারেননি এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষীকাকে কুপ্রস্তাব দেন তিনি সেযাত্রা ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান তবে বিষয়টি বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকা একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয় যোগাযোগ মাধ্যমে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক যারা নুরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের বিদ্যালয়টি বর্তমানে নাজাহেল অবস্থায় আছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কমে যাচ্ছে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পড়াতে চাচ্ছেন না কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন এই অবৈধ শিক্ষক জামাল হোসেন যদি এখানে বহাল থাকেন তাহলে তাদের সন্তানদের এখানে পড়াবেন না। কারণ তারা তার সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তা ও শ্লীলীনিহতায় ভুগছেন। এবং তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ দিয়ে বলেন এর জন্যই আমরা সকল শিক্ষক ও শিক্ষিকা অন্যান্য কর্মচারীরা মিলে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দায়ের করে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি বিদ্যালয়ের সভাপতি কাছে। আমরা চাই বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক এবং দুর্নীতিবাজ জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ রয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত জামাল হোসেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় তিনি মেডিকেল ছুটিতে আছেন অথচ তাকে বানারী পাড়ার বিভিন্ন অফিসে ঘুরতে দেখা গেছে এরকম একটি ভিডিও ইতিমধ্যে যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ব্যাপারে বানারী পাড়ার কিছু সুশীল সমাজের মানুষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন জামাল হোসেন একজন দুশ্চরিত্রবান একজন লম্পট তা বানারীপাড়া বাসির কাছে প্রমাণিত। সামাজিক মানুষের মধ্যে এখন একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জামাল হোসেন বরিশাল জেলার লোক নন অথচ কিভাবে উনি এখানে চাকরি নিলেন আমাদের বোধগম্য হয় না আমাদের জানামতে বানারী পাড়া সরকারি বেসরকারি কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষক বরিশাল জেলার বাহিরে নয়।