২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ জোটের চাপ নাকি অভ্যন্তরীণ কোন্দল? বরিশাল -৩ আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। ভোটারদের মাঝে ‘ভিআইপি চমক’-এর গুঞ্জন বাবুগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ
অর্থের অভাবে গর্ভবর্তী নারীকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

অর্থের অভাবে গর্ভবর্তী নারীকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

মোঃ তহিরুল ইসলাম নিজস্ব প্রতিনিধি::-

মাত্র এক লাখ টাকার প্রয়োজন তাহলেই গর্ভের বাচ্চা আর গর্ভবতী মা দুজনই বেঁচে যেতে পারেন। ঢাকায় নিয়ে অস্ত্রপচার করাতে হবে। চিকিৎসকের এমন পরামর্শের পরও অর্থের অভাবে গর্ভবর্তী ওই নারীকে ঢাকায় নেওয়ার পরিবর্তে রোববার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এখন বিছানায় শুয়ে যন্ত্রনায় ছটফট করছেন শুকতারা বেগম ২৮। তার বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকায়। শুকতারার স্বামী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন তার স্ত্রীর গর্ভে ৮ মাস বয়সের যে বাচ্চা রয়েছে তা স্বাভাবিক নয়। তাকে দ্রুত অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ভুমিষ্ট করা প্রয়োজন। তাহলে গর্ভবতী মা আর বাচ্চা উভয়ই বেঁচে যেতে পারে অন্যথায় তারা উভয়ই জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে তারা নিতে পারছেন না। রবিউল ইসলাম জানান হতদরিদ্র পরিবারে তার জন্ম। নিজে অন্যের পানের বরজে কামলার কাজ করে সংসার চালান। তার বাবা সিরাজুল ইসলাম ও তিনি একসঙ্গেই কাজ করেন এবং বসবাস করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ-আন্দুলিয়ায়। ৫ শতক জমির উপর সেখানে ভিটাবাড়ি রয়েছে। যেখানে টিনের ছাপড়ায় তারা বসবাস করতেন। আনুমানিক ৫ মাস হলো কাজের প্রয়োজনে ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেছেন। এখান থেকে বাবা-ছে’লে মিলে অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালান। রবিউল ইসলাম আরো জানান আনুমানিক ১০ বছর পূর্বে তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকায় বিয়ে করেন। ৮ বছর পূর্বে তাদের একটি ছেলে সন্তান হয়। যার নাম রেখেছেন শিফাত। এরপর ৮ মাস পূর্বে তার স্ত্রী শুকতারার গর্ভে আবারো সন্তান আসে। এ পর্যন্ত ভালোই ছিল গর্ভবর্তী নারী ও গর্ভের সন্তান। কিন্তু এক মাস পূর্বে একদিন আলট্রাসনো করানোর সময় চিকিৎসকরা কিছুটা সমস্যা আছে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার স্ত্রীর তেমন কোনো সমস্যা না দেখা দেওয়ায় তারা অনেকটা চিন্তামুক্ত অবস্থায় দিন পার করেছেন। রবিউল ইসলাম জানান গত ২৯ জানুয়ারি বুধবার হঠাৎ করে তার স্ত্রী শুকতারা যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকে। এ সময় তারা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসারা করানোর পর চিকিৎসকরা নানা পরীক্ষার পর শুক্রবার ফরিদপুর ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠান। সেখানে দুইদিন চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন বাচ্চাটি গর্ভে অস্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। এখনও বেঁচে আছে। দ্রুত অস্ত্রপচার না করলে বাচ্চাটি গর্ভেই মারা যেতে পারে। আবার এই অবস্থায় বেশিদিন থাকলে মায়ের জীবনেরও ঝুঁ’কি রয়েছে। এ জন্য তারা ঢাকায় শিশু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। চিকিৎসকরা ধারনা দিয়েছেন ঢাকায় নিয়ে অস্ত্রপাচার করানোর জন্য তাদের সবমিলিয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ হবে। শুকতারা বেগমের শশুর সিরাজুল ইসলাম জানান ভিটাবাড়ি ছাড়া তাদের কিছুই নেই। এ পর্যন্ত নানা পরীক্ষা-নিরিক্ষা আর ঔষধপত্রে প্রায় ২০ হাজার খরচ হয়েছে। যা ধার দেনা করে করতে হয়েছে। এখন এক লাখ টাকার জোগাড় তারা কিভাবে করবেন। এই টাকা জোগাড় করতে না পারাই তারা রোগিকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন। কিন্তু রোগিকে দেখে কোনো ভাবেই স্বাভাবিক থাকতে পারছেন না। তার যন্ত্রনা দেখে গোটা পরিবার ভেঙ্গে পড়েছেন। তারপরও ভার্গের উপর অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের কিছুই করার নেই। আশা করছেন অন্তত মা বেচেঁ থাকলে সংসারটা থাকবে। অবশ্য তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শামীমা সুলতানা জানান তিনি রোগির কাগজপত্র দেখে বুঝেছেন বাচ্চা ও মা উভয়কে বাঁচাতে হলে তাকে ঢাকায় যেতে হবে। অন্যথায় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বাচ্চার-মা উভয়ই জীবনের ঝুঁ’কিতে রয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019