২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫০ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনলাইন ডেস্ক
ভারতের রাজস্থানের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের ৪৩ হাজারের বেশি জাল সনদ দেওয়া হয়েছে, যা ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ার অনুমতি ছিল না।
যোগিন্দর সিং নামের ঐ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৩ সালের পর থেকে এই ৪৩ হাজার ৪০৯টি জাল সনদ দিয়েছে। দুই বছর আগে ২০২২ সালে ফিজিক্যাল ট্রেইনিং ইনস্ট্রাক্টর (পিটিআই) পরীক্ষার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ১ হাজার ৩০০ জন আবেদনকারী তাদের সনদ জমা দেওয়ার পর বিষয়টি সামনে আসে। গত ৪ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
সরকারি তথ্যানুসারে, ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে মাত্র ১০০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের আগে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিলেন তারাই কেবল ২০২২ সালের পিটিআই পরীক্ষার জন্য যোগ্য ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এসব শিক্ষার্থীদের অনেকের ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রকৃত সনদ ইস্যু করেনি।
ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা যোগিন্দর সিং দালালকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই এই বিষয়টি সামনে আসে।
রাজস্থান পুলিশের ডিআইজি প্যারিস দেশমুখ বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ৭০৮টি পিএইচডি, ৮ হাজার ৮৬১টি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি এবং শারীরিক শিক্ষায় ১ হাজার ৬৪০ ডিগ্রি প্রদান করেছে।
সর্বশেষ পরিস্থিতির আলোকে গত ২৪ জুন রাজস্থান সরকারের উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয়টির সব কোর্সে নতুন করে ভর্তি বন্ধ করার আদেশ জারি করেছে। সূত্র: এনডিটিভি