২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:২৫ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি,
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গায় দু’দিনে ঝুলন্ত নারীসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশ শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদরের দৌলতদিয়াড় দক্ষিনপাড়া ভাড়া বাড়ি থেকে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার বাবুখালী গ্রামের মিন্টুর মেয়ে তিনি দ্বিতীয় স্বামী ও প্রথমপক্ষের দুই সন্তানকে নিয়ে দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিনপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। হামিদা ওরফে সুবর্ণা আক্তার রিয়া (৩২) র ঝুলন্ত মরদেহ এবং দামুড়হুদা পুলিশ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের দিল্লিপাড়ার আইনাল আলীর ছেলে জুবায়ের হোসেন (২০) ‘র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে।দুটি মরদেহ ময়না তদন্তের পর দুজনের মরদেহ পরিবারের নিকট পুলিশ হস্তান্তর করেছে। হামিদা ওরফে সুবর্ণা আক্তার রিয়ার মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সবুর হোসেন বলেন, ওই নারী ঘরের বারান্দায় বাশের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দ্বিতীয় স্বামী ও প্রথমপক্ষের দুই সন্তানকে নিয়ে দৌলতদিয়াড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক সন্তান প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য মাকে ডাকতে যায়। এসময় ঘরে মাকে না পেয়ে তার বাবাকে ডাকে। পরে বারান্দায় হামিদা ওরফে সুবর্ণা আক্তার রিয়া ঝুলন্ত অবস্থা দেখতে পাই। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে এটা জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অপরদিকে, জুবায়ের হোসেনের মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা নাটুদহ পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিজ ঘরের রডের সাথে রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন, চিকিৎসাও নিচ্ছিলেন। একসময় সুস্থ হতেন আবারও অসুস্থ হয়ে পড়তেন। এ কারণে আত্মহত্যা করতে পারে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া তিনি বাড়িতেই একটি মুদিখানা দোকান পরিচালনা করতেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।