২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বি এম মনির হোসেনঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বিস্তারিত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের লোকজন একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। ২১ ফেব্রুয়ারী বুধবার প্রথম প্রহরে সরকারী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ মাঠের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের বেদীতে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রী মর্যাদায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি’র পক্ষে পুত্র জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলম চাঁদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন সেরনিয়াবাত। এরপরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আবদুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, সরকারী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ শিক্ষক মন্ডলী, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনসমূহর নেতৃবৃন্দ, আগৈলঝাড়া প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, জাতীয় পার্টি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমন্ডলী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও জাকের পার্টির কোন নেতা-কর্মী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে দেখা যায়নি। ২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী, বে-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় প্রভাত ফেরী, শহীদ মিনার চত্তরে আলোচনা সভা। উপজেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিযোগীতা মুলক অংশগ্রহণ ও পুরস্কার বিতরণসহ যথাযোগ্য মর্যাদায় স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি গ্রামীন জনপদে কাঠ-বাঁশ ও কলা গাছ দিয়ে বিশেষভাবে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা শহীদ মিনারে শিশুদের শ্রদ্ধা জানানোর খবর পাওয়া গেছে।