২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর মা নার্সিং হোম ক্লিনিকের ভিতরে দুর্বৃত্তরা কর্তব্যরত সেবিকা হাফিজা খাতুন কে গলা কেটে হত্যা করেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর উপজেলার পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম ক্লিনিকের একটি কক্ষে তার সহকর্মীরা গোঙানির শব্দ শুনতে পায়।
দ্রুত সেখানে গিয়ে হাফিজার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।পরে তাকে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। মৃত হাফিজা একই উপজেলার সন্তোসপুর গ্রামের শমসের আলীর মেয়ে ও বালিহুদা গ্রামের টাইস মিস্ত্রি কবির হোসেনের স্ত্রী। ক্লিনিকের তার সহকর্মী বিউটি জানায়,এক ব্যক্তিকে নিয়ে ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় হাফিজা তার সঙ্গে আলাপচারিতা করছিল দেখে সে ৩য় তলায় চলে যায়।কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন জানায়, আমি ১০ দিন ধরে ঢাকাতে অবস্থান করছি। ক্লিনিকের নার্স বিউটির মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারি। এদিকে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা ও
জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হত্যা সন্দেহে রাতে হাফিজার দ্বিতীয় স্বামী কবির হোসেন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে কবির হাফিজাকে হত্যা করতে পারে।পরে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।