২১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি ঃ
বরিশালের বাবুগঞ্জের শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ অবৈধভাবে দখলের চেষ্টার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবিনাশ চন্দ্র রায়। তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও শারীরিক চর্চার একমাত্র উন্মুক্ত স্থান হলেও সম্প্রতি একটি মহল জোরপূর্বক সেটি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
৩০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ঐতিহ্যবাহী রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবিনাশ চন্দ্র রায়’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদিত কমিটি নেই। অথচ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিরোধী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট মোসাম্মৎ ফজিলাতুন্নেছা স্বামী মৃত অ্যাড. এমদাদুল হক খান ও তার অনুসারীরা নিজেদের নামে একটি ভুয়া দলিল তৈরি করে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলের চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ১১/০৭/১৯৭৫ সালে
স্থানীয় সমাজসেবক ও বিদ্যালয়ের হিতাকাঙ্খী সদয় মুখার্জি রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নামে মাঠটি দান করেন।
এদিকে মরহুম অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক দীর্ঘদিন রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষকতা করেছেন। তার শিক্ষাকতার জীবনে তিনি কিংবা তার পরিবারের কোন সদস্য রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তার নিজস্ব জমি রয়েছে এমন কথা জানাননি।
কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর তারই উত্তরসূরিরা সেই জমি নিজের বলে দাবি করছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।
বিদ্যালয় প্রধান আরও বলেন, তাদের এই কর্মকাণ্ডের ফলে বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়প্রেমী ব্যক্তি, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ, দ্রুত এই অবৈধ দখল প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে মাঠটি শিক্ষার্থীদের কাছে ফিরিয়ে দিন।
তিনি সকল সাংবাদিক, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তা কামনা করেছেন এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে, রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক নূর মোহাম্মদ মোল্লা, সহকারী শিক্ষক সৈয়দা নাহিদা সুলতানা, সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, খাইরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বাবুগঞ্জ উপজেলার অন্যতম পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।