২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদ হাসান রনি, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গার পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় আদালত দুই ব্যাক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামীদ্বয় আলমডাঙ্গা উপজেলার বারাদি গ্রামের নাজমুল হক (৩৩) ও জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামের আব্দুল খালেক (৫৫)’র উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিতদেরকে পুলিশ পাহারায় আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।পরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর এমএম শাহাজাহান মুকুল জানান, উভয় মামলার স্বাক্ষী পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত দুজনকেই পৃথক পৃথকভাবে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সেই সাথে এক লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। বিজ্ঞ আদালত মনে করেন, এই রায় যথার্থ হয়েছে। এবং সমাজের অপরাধ প্রবণতা এই রায়ের পর কমবে বলে রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে। উল্লেখ ২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামি নাজমুল হক তার বন্ধুর ১৩ বছর বয়সী কিশোরী বোনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর আলমডাঙ্গা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। আলমডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খসরু আলম তদন্ত শেষে আসামি নাজমুলের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এছাড়া, ২০১৫ সালের ৮ জুন আসামী আব্দুল খালেক তাঁর ভায়রা ভাইয়ের ৬ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ওই ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে ৯ জুন জীবননগর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আকরাম হোসেন তদন্ত শেষে ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।