২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি (পটুয়াখালী)ঃ মির্জাগঞ্জে ভি ডব্লিউ ভির চাল দেওয়ার নামে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির মাসুদের বিরুদ্ধে। শতাধিক ক্ষুব্ধ জনতা ওই সচিবকে পরিষদের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখে প্রশাসন কে অবহিত করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানাযায় যে, সোমবার (২৬মে) সকাল থেকে মাধবখালী ইউনিয়নের ৩২৫ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫ মাসের ভি ডব্লিউ ভির চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। চৌকিদার ও দফাদারের মাধ্যমে প্রতিজন উপকার ভোগীদের কাছ থেকে ইউ পি সচিব হুমায়ুন কবির মাসুদ ৫শত টাকা করে আদায় করে নেয়।কিন্তু কিছু কিছু ভুক্তভোগীর কাছে থেকে টাকা নিয়া চাল না দেওয়ায় এই হট্টগোল বাধে। জেসমিন নামে এক নারীর থেকে ৫ শত টাকা নিয়েও তাকে চাল দেয় নায় বলে সে মিডিয়ার সামনে অভিযোগ করেন। হট্টগোল দেখে ক্রমান্বয়ে লোক জড়ো হতে থাকে । চাল নিতে সরকারকে কোন টাকা দিতে হয় না জানার পর উপস্থিত ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরত ও সচিবের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে উপস্থিত জনতা সচিব কে একটি কক্ষে আজ সন্ধ্যা ৮ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। ভুক্তভোগীরা বলেন, গত দুই দিন ধরে আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়া চৌকিদার ও দফাদার চাল দেওয়ার কথা বলে ৫ শত টাকা করে নিয়েছে। টাকা না দিলে চাল দেওয়া হবে না।
পরিষদের দফাদার শফিকুল ইসলাম সোহাগ বলেন, সচিব আমাদের টাকা উত্তোলনের জন্য বলছে। তার কথাতেই টাকা নেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সচিব হুমায়ুন কবির মাসুদ বলেন, আমি কোন টাকা আদায় করিনি যা করার তা প্রশাসক ও ইউপি সদস্য চৌকিদার দফাদার সবাই মিলে মিটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়া সেই মোতাবেক তারা ই টাকা আদায় কিরেছে করেছে। এখানে আমার একক কোন বিষয় নয়।
মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম কে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি অভিযোগ ও ভিডিও পেয়েছি। এ ব্যাপারে শতভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবরুদ্ধ সচিব হুমায়ুন কবির মাসুদ কে উদ্ধার করতে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার যোগাযোগ করেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি।