২০ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ অপরাহ্ন, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, বৃহস্পতিবার, ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এস. এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে:বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনে হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকারের বিরুদ্ধে চলছে কঠোর অভিযান। পূর্ব সুন্দরবনে ১ মে থেকে শুরু হওয়া বনরক্ষীদের মাসব্যাপী ‘কম্বিং অপারেশন’-এ এ পর্যন্ত হরিণ শিকারিদের ব্যবহৃত বিপুল ফাঁদ, হরিণের মাংস, বিষমিশ্রিত চিংড়ি ও নিষিদ্ধ কাঁকড়া ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে ১১ জনকে।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জে হরিণ শিকারের প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। চোরাশিকারীরা নাইলনের তৈরি জালের ফাঁদ ব্যবহার করে বনের গভীরে হরিণ শিকার করছে। এর প্রেক্ষিতে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্দেশে ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন শুরু করা হয়।
১৮ মে পর্যন্ত অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে:
হরিণের ফাঁদ: ৪৪ কেজিরও বেশি
হরিণের মাংস: ৪২ কেজি
বিষমিশ্রিত চিংড়ি মাছ: ৭০ কেজি
কীটনাশক: ১ বোতল
নিষিদ্ধ কাঁকড়া ধরার চারু: ১৪২টি
ডিঙ্গি নৌকা ও ট্রলার: ৫টি
আটক: ১১ জন
চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর পাড়ে গর্ত করে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হরিণ ধরার ফাঁদও উদ্ধার করেছেন বনরক্ষীরা। অভিযানে ধরা পড়া মাছ ধরার জাল ও কাঁকড়া ধরার নিষিদ্ধ সরঞ্জামগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
ডিএফও রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষায় চলমান এই অপারেশন ইতোমধ্যে সফলতা পেয়েছে। হরিণ শিকার ও বন অপরাধ দমনে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি।” আটককৃতদের বিরুদ্ধে বন আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।**