মো: নাঈম মোঘল বানারীপাড়া প্রতিনিধি : বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের কাজলাহার গ্রামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিজের অপকর্ম ডাকতে বিএনপির কর্মীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ঘটনার সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় প্রত্যক্ষদর্শী সাখাওয়াত হোসেন( ৪০) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন কিছুদিন পূর্বে কাজলাহারর গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাজলাহার বায়তুন নুর জামে মসজিদের সভাপতি মোহাম্মদ লাল মিয়া র একটি নগ্ন ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এই বিষয়টি এলাকার মুসল্লিরা মানতে পারেনি তারা লাল মিয়াকে সভাপতি পথ থেকে পদত্যাগের আবেদন জানান পরবর্তীতে মসজিদ কমিটি বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন অভিযোগকারী শাহাদাত বেপারী (৪৫)সে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য। ঘটনার দিন শুক্রবার সকাল ৮ টা ৩০ এর সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে একই এলাকার ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন (৪৫) ও সদর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি সুমন হাওলাদার (৪৫) শাহাদাতকে মসজিদের ব্যাপারে কিছু কথা ও মসজিদের পুরনো হিসাব নিকাশ জুমার নামাজের সময় মসজিদে নিয়ে আসতে বলেন। এতে শাহাদাত হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন পরবর্তীতে শাহাদাতের স্ত্রী নাজমা বেগম (৫২ ) ঘটনাস্থলে এসে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় সবাইকে গালিগালাজ করে এবং বলেন আমাদের কাছে ৫০০০০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করছে এরা কিন্তু ওখানে কোন চাঁদা দাবির কোন ঘটনা ঘটেনি তবে নিজেদের মধ্যে একটু ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ২০১৮ সনের সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের হাতুড়ি বাহিনী হামলার শিকার হই আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমাকে বরিশাল থেকে ফেরত দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করা হয় আল্লাহর অশেষ রহমতে সে যাত্রা আমি জীবন ফিরে পেয়েছি আর সেই হাতুড়ি বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন এই শাহাদাত এবং তার এজেন্ডাই আমার উপর হামলা হয়েছিল আর এখন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছে বানারীপাড়া থানায় আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আপনারাএলাকায় জেনে দেখবেন যে আসলে এখানে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা তবে তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত সুমন হাওলাদার (৪৩) এটি মিথ্যা এবং বানোয়াট এটা আমাদের দলকে কলুষিতো করতে কারো প্ররোচনায় পড়ে এই মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সঠিক বিচার দাবি করছি। এ বিষয় নিয়ে অভিযোগকারী শাহাদাতের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন বেলাল ও সুমন আমাকে মারধর করে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা চাওয়ার ব্যাপারে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি তবে হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে অনেক প্রত্যক্ষদর্শীরা স্বীকার করেছেন।এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানা বিএনপির সদস্য সচিব রিয়াজ আহমেদ মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টা আমি শুনেছি তবে শাহাদাত একজন চিহ্নিত আমলীগ কর্মী আমার জানামতে ওখানে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বরং কারো প্ররোচনায় পড়ে আমার বিএনপি কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যে একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ থানায় দায়ের করেছেন আমরা এ ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে দেখব যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।